—প্রতীকী চিত্র।
ইউনিফর্ম পরে, বুকে পোস্টার নিয়ে তৃণমূলের মিছিলে হাঁটল স্কুলের পড়ুয়ারা। শনিবার এই ছবি দেখা গেল উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের সামনে পর্যন্ত আয়োজিত শাসকদলের মিছিলে। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে ওই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্র তৃণমূল। রাজনৈতিক দলের মিছিলে স্কুল পড়ুয়াদের উপস্থিতিতে বিতর্ক ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই মিছিলে শামিল হওয়ার জন্য ছাত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ করেছিলেন বীণাপাণি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের টিচার ইন-চার্জ বাসন্তী মাইতি। সেই মতোই ওই বিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্রী মিছিলে হাঁটে।
সিপিএম নেতা সাবিরউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘‘স্কুলকে মিছিলে যোগ দিতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। ওই শিক্ষিকার বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। কার নির্দেশে তিনি ছাত্রীদের ওই নোটিস দিলেন!’’ হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপি সভাপতি অরুণ উদয় পাল চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘তৃণমূল জোর করে স্কুল থেকে ছাত্রীদের নিয়ে মিছিল ভরাচ্ছে।’’
যদিও বাসন্তীর বক্তব্য, ‘‘শনিবার সকালে এক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, উলুবেড়িয়া পুরসভার উদ্যোগে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল হবে। তাতে যেন ছাত্রী এবং শিক্ষক শিক্ষিকাদের যেতে বলা হয়। পুরসভার কর্মসূচি ভেবে ছাত্রীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ দিয়েছিলাম। বুঝতে পারিনি, দলীয় কর্মসূচি।’’
উলুবেড়িয়ার পুরপ্রধান, তৃণমূলের অভয় দাস বলেন, ‘‘সমাজের সকল শ্রেণিকে আহ্বান করেছিলাম। ওই স্কুলকেও আহ্বান করেছিলাম।’’ যদিও হাওড়া গ্রামীণ জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান সমীর পাঁজা মানছেন, ‘‘দলীয় কর্মসূচিতে স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে আসা ঠিক হয়নি।’’ হাওড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সুজিতকুমার হাইত বলেন, ‘‘বিষয়টি একদমই ঠিক হয়নি। খোঁজ নিচ্ছি।’’ এক অভিভাবকের কথায়, ‘‘রাজনৈতিক কর্মসূচিতে স্কুলের ছাত্রীদের যোগ দিতে বলা উচিত হয়নি।’’