পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। —নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া জেলা সংশোধনাগারে এক বিচারাধীন জেলবন্দির মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হাওড়ার পাঁচলা থানার জয়নগর এলাকা। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ হল এলাকা। ভাঙচুর করা হল পুলিশের গাড়ি। রাস্তা অবরোধ করলেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে পুলিশবাহিনী এবং র্যাফ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার রাতে সোমনাথ সর্দার নামে ২৬ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল। গত ৩০ অগস্ট আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। পুলিশের দাবি, শুক্রবার রাতে হাওড়া সংশোধনাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সোমনাথ। সেখান থেকে তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। অন্য দিকে, সোমনাথের মৃত্যুসংবাদ তাঁর এলাকায় পৌঁছতেই মুহূর্তে উত্তপ্ত হয় এলাকা। পুলিশের বিরুদ্ধে বিচারাধীন বন্দিকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, জেল হেফাজতে সোমনাথের উপর অত্যাচার করেছে পুলিশ। তাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। মৃতের এক আত্মীয়ের কথায়, ‘‘ওর মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সোমনাথকে পিটিয়ে মেরেছে পুলিশ।’’
জয়নগর সর্দার পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন সোমনাথ। পরিবার সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে বাড়িতে খবর আসে যে সোমনাথের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে শনিবার সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। জয়নগরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশের একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা। যদিও কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশের পক্ষ থেকে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলাশাসকের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হবে। ওই সময় ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে।