ধৃত মহম্মদ কলিম এবং ছোটু শেখ। নিজস্ব চিত্র।
হাওড়ায় আইনজীবীর ফ্ল্যাটে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযোগ, বেলিলিয়াস রোডের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথ দে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে বেঁধে ফেলে লুঠপাট চালিয়েছিল মহম্মদ কলিম এবং ছোটু শেখ নামে ধৃত দুই দুষ্কৃতী।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২১ মে দুপুরে ওই ঘটনা ঘটেছিল। আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান এমনিতে জনবহুল এই এলাকা সেদিন কোভিড পরিস্থিতিতে জারি হওয়া সরকারি বিধিনিষেধের জেরে কারণে ফাঁকা ছিল। সেই সুযোগ নিয়ে মাস্ক পরে দুই সশস্ত্র দুষ্কৃতী ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনের ভয় দেখিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে লুঠপাট চালায় তারা। ঘরের আলমারি, আসবাব জিনিসপত্র লন্ডভন্ড করে দেয়।
দুই ডাকাত পালানোর পরে চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করেন আইনজীবী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে হাওড়া থানার পুলিশ ও হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল সূত্র ধরে দুষ্কৃতীদের দের চিহ্নিত করে পুলিশ।
চেনা পরিচিত লোকজন এই ঘটনার সাথে যুক্ত থাকতে পারে বলে অনুমান ছিল পুলিশের। গতরাতে হাওড়া থানা এলাকার ইস্ট-ওয়েস্ট বাই পাস থেকে ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত কলিম ও ছটুকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনাথের মেয়ে সুমিতা শ্রীবাস্তব। পালিশ করার সরঞ্জাম বিক্রি করতেন তিনি। খরিদ্দার পরিচয় দিয়ে তাঁর থেকে পালিশ করার রাসায়নিক কিনেছিল কলিম।এরপর আরও বেশি বরাত দেওয়ার অছিলাম বেশ কয়েকবার আইনজীবীর বাড়িতে যাওয়া আসা করেছিল। আসল উদ্দেশ্য ছিল ডাকাতির ‘রেইকি’ করা। এরপর করোনা পরিস্থিতিতে জারি হওয়া সরকারি বিধিনিষেধের জেরে রাস্তাঘাট ও এলাকা ফাঁকা থাকার সুযোগে ডাকাতি করেছিল কলিম ও ছটু। আজ ধৃত দুজনকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।