প্রশান্ত কিশোর এবং শরদ পওয়ার। ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে গিয়ে এনসিপি সভাপতি শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। শুক্রবার মুম্বইয়ে শরদের বাসভবনে দু’জনের এই বৈঠক ফের উস্কে দিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি-বিরোধী জোটের জল্পনা।
বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের পর মমতা জানিয়েছিলেন, জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধী লড়াই জোরদার করতে পরামর্শদাতাদের সাহায্য নেওয়া হবে। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের বিপুল জয়ের নেপথ্যে থাকা ভোটকুশলী প্রশান্তকে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে দলের একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল।
ঘটনাচক্রে, চলতি সপ্তাহেই শিবসেনা প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সরকারি ভাবে জানানো হয়েছিল, চাকরিতে মরাঠাদের জন্য সংরক্ষণ চালু-সহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্যই মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন উদ্ধব। কিন্তু মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের অন্য দুই শরিক এনসিপি এবং কংগ্রেসের একাংশ বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অন্য দিকে, শিবসেনা নেতৃত্বের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা এখন বিজেপি-র সহযোগী না হলেও প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়নি।
মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে উদ্ধব বলেছেন, ‘‘আমি পাকিস্তানের নেতা নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করিনি। যদি ব্যক্তিগত ভাবে মোদীর সঙ্গে দেখা করে থাকি, তাতেও কারও আপত্তি থাকার কথা নয়।’’ শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউথও প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বিবৃতি দিয়েছেন। মহারাষ্ট্র বিধানসভার পাটিগণিত বলছে, শিবসেনা-বিজেপি জোট বাঁধলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে বিরোধী আসনে বসে হবে কংগ্রেস এবং এনসিপি-কে। এই প্রেক্ষিতে শরদ-প্রশান্ত বৈঠককে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।