বিদ্যুৎকর্মীদের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ। রবিবার রাতে। নিজস্ব চিত্র।
প্রবল গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ফের নাকাল হল উত্তরপাড়া।
রবিবার রাতে শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাজকৃষ্ণ স্ট্রিটে (আর কে স্ট্রিট) লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে ঘুমের দফারফা হয় বাসিন্দাদের। সিইএসসি-র ইঞ্জিনিয়ার না আসায় ওই দফতরের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। পুলিশ এসে ইঞ্জিনিয়ার আনার ব্যবস্থা করে। শেষমেশ বিদ্যুৎ ফেরে গভীর রাতে। শনিবারের পরে রবিবার পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় লোডশেডিং হয় বলে অভিযোগ।
মেরামতের কাজে আসা সিইএসসি-র ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য, গরমে প্রচুর সংখ্যায় বাতানুকূল যন্ত্র (এসি) চলছে। তাতে বিদ্যুতের চাহিদা অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেই করণেই বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সমস্যা হচ্ছে কোনও কোনও জায়গায়। তবে দফতরের কর্মীরা প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
রবিবার রাত ১১টা নাগাদ আর কে স্ট্রিটে লোডশেডিং হয়। খবর পেয়ে আধ ঘণ্টা পরে সিইএসসি-র কর্মীরা আসেন। তবে তাঁরা জানান, ইঞ্জিনিয়ার আসেননি। ইঞ্জিনিয়ার না এলে তাঁদের পক্ষে মেরামতের কাজ করা সম্ভব নয়। ততক্ষণে হাঁসফাঁস গরমে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন। বিদ্যুৎকর্মীদের কথা শুনে দ্রুত বিদ্যুৎ ফেরার সম্ভাবনা নেই দেখে তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। ওই কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা বলতে থাকেন, সাধারণ মানুষের কষ্ট তো হচ্ছেই। এলাকায় নার্সিংহোম রয়েছে। বিদ্যুৎ দ্রুত না ফিরলে রোগীদের সমস্যা হবে। তপ্ত পরিস্থিতির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। শ্রীরামপুর থেকে ইঞ্জিনিয়ার আনার ব্যবস্থা করে পুলিশ। তারপর বিক্ষোভ প্রশমিত হয়। বিদ্যুৎ ফেরে রাত দেড়টা নাগাদ।
ভুক্তভোগী এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘রাত ১১টা নাগাদ বড় এলাকা জুড়ে বিদ্যুৎ চলে যায়। আমরাই সিইএসসি-কে ফোন করে বিষয়টি জানাই। ইঞ্জিনিয়ার আসবেন না, এটা কেমন কথা! প্রতি মাসে গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা বিদ্যুতের বিল মেটাব, আর তীব্র গরমে রোজ লোডশেডিং হবে? এটা মানা যায় না।’’
শনিবার থেকেই উত্তরপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার খবর মেলে। রবিবার রাতেও পুরসভার ১২ এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘক্ষণ
বিদ্যুৎ ছিল না। তার জেরে রামলাল দত্ত রোড এবং এস এন ব্যানার্জি স্ট্রিট, রামসীতা ঘাট স্ট্রিটের মানুষকে দীর্ঘ সময় ভুগতে হয়। দিন কয়েক
আগেও লোডশেডিংয়ে জেরবার হয়েছিল এই শহর।