water logging

বৃষ্টি আর পুরসভার জলে থইথই রাস্তা, নাভিশ্বাস হাওড়ায়

হাওড়া পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ অংশে, বিশেষ করে বেলগাছিয়া এলাকায় দীর্ঘ দিন নিকাশি ব্যবস্থার কোনও রকম সংস্কার না হওয়ায় প্রতি বর্ষাতেই এলাকার বাসিন্দাদের ভুগতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৮
Share:

বানভাসি: এমনই পরিস্থিতি হাওড়ার বেলগাছিয়া এলাকায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

চলতি বর্ষার মরসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই হাবুডুবু পরিস্থিতি হচ্ছে
হাওড়ার বেলগাছিয়া এলাকায়। বৃষ্টির জল তো আছেই, সেই সঙ্গে পুরসভার পাইপলাইনেও কোথাও ফুটো হয়ে যাওয়ায় জল জমে যাচ্ছে এলাকায়। যার জেরে সারা ক্ষণই হাঁটুজল ভেঙে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। গত কয়েক দিন ধরে চলা নিম্নচাপের বৃষ্টিতে এলাকার পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে শনিবার সকালে স্থানীয় একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল নির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত না রাখায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, স্কুলে আসতে গিয়ে অনেক পড়ুয়া ও অভিভাবক রাস্তার গর্তে বা নর্দমায় পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। গাড়ির চাকা ভেঙে গিয়েছে। এই অবস্থায় পড়ুয়াদের কার্যত জীবন হাতে নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসতে হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রশাসন জল সরিয়ে অবিলম্বে রাস্তা মেরামত না করলে পরীক্ষাই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন তাঁরা।

Advertisement

হাওড়া পুরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ অংশে, বিশেষ করে বেলগাছিয়া এলাকায় দীর্ঘ দিন নিকাশি ব্যবস্থার কোনও রকম সংস্কার না হওয়ায় প্রতি বর্ষাতেই এলাকার বাসিন্দাদের
ভুগতে হয়। কিন্তু চলতি বছরে সেই সমস্যা বহু গুণ বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার
বাসিন্দারা। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে বেনারস রোডের ওই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়ারা। স্কুলের তরফে বার বার পুরসভাকে জমা জল সরানো ও রাস্তা মেরামতির কথা বলার পরে গত সপ্তাহে পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী ও পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারেরা উদ্যোগী হয়ে সারা রাত ধরে ওই স্কুলের সামনে রাস্তার এক দিক কংক্রিটের করে দেন। বাকি ছিল অন্য লেনের কাজ। কিন্তু এরই মধ্যে গত কয়েক দিন ধরে চলা বৃষ্টিতে এলাকার সমস্ত রাস্তা এবং অলিগলি ফের জলের তলায় চলে যায়। জল জমে যায় ওই স্কুলের সামনেও। ফলে পরীক্ষা দিতে আসার পথে বিপাকে পড়ে পড়ুয়ারা।

সঞ্জয় অধিকারী নামে এক অভিভাবক এ দিন বলেন, ‘‘স্কুলের সামনে যা পরিস্থিতি, তাতে কি পরীক্ষা দিতে আসা সম্ভব? অথচ, স্কুল কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা পিছোচ্ছেন না। আমাদের বক্তব্য, রাস্তা মেরামত হলে তার পরে পরীক্ষা নেওয়া হোক।’’ স্কুলের অধ্যক্ষা সরিতা জায়সওয়াল বলেন, ‘‘আমরা পুরসভার চেয়ারপার্সনকে বলার পরে রাস্তার একাংশ কংক্রিট করা হয়েছে। কিন্তু সবটা করা হয়নি। এ দিকে, জমা জলও নামছে না। এ ভাবে চলতে থাকলে আমরা পরীক্ষা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।’’

Advertisement

ওই এলাকার সমস্যা নিয়ে পুর চেয়ারপার্সন বলেন, ‘‘ওখানে জল নামানোর জন্য জেট সাকশন মেশিন এবং ৩৩ কেভি-র পাম্প চালানো হচ্ছে। বৃষ্টির জল নেমে যাওয়ার পরেও পুরসভার পাইপে জল এলেই রাস্তায় জল জমে যাচ্ছে। এই ঘটনা কেন ঘটছে, তা আমাদের ইঞ্জিনিয়ারেরা খতিয়ে দেখছেন। বৃষ্টি কমলেই বাকি রাস্তার কাজও শেষ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement