নতুন সৈকতে পুণ্যার্থীদের স্নানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। —ফাইল ছবি।
গঙ্গাসাগর মেলায় ভাঙনের কারণে এ বার পুণ্যার্থীদের জন্য দু’টি সাগরসৈকত (দুই ও তিন নম্বর বিচ) বন্ধ রাখা হবে। তবে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে এক নম্বর সাগরসৈকতে পুণ্যার্থীদের ভিড় বাড়ানোর জন্য নতুন করে পরিকাঠামো উন্নয়নে উদ্যোগী হয়েছে। মূল মেলাপ্রাঙ্গণ থেকে বেশ খানিকটা দূরে অবস্থিত এই সৈকতটি বর্তমানে ভাল অবস্থায় রয়েছে এবং তুলনামূলক ভাবে জনবহুল নয়। তাই একে পুণ্যার্থীদের স্নানের জন্য সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। নতুন সাগরসৈকত তৈরির ক্ষেত্রে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখা হচ্ছে। অনেক সাবধানতা অবলম্বন করে নতুন সৈকতটি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রশাসন আশা করছে, পুণ্যার্থীরা এই সৈকতে পুণ্যস্নান করে তৃপ্ত হবেন।
এক নম্বর সৈকতে নতুন পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে জোরকদমে। নিরাপত্তা এবং আলোকসজ্জার জন্য সৈকত জুড়ে বসানো হবে অ্যান্টি ফগ লাইট। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মাধ্যমে পুরো এলাকাটি বৈদ্যুতিকরণের আওতায় আনা হচ্ছে। মেলাপ্রাঙ্গণকে আলোকিত করতে অতিরিক্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের সুবিধার্থে সৈকতে শৌচালয় তৈরি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জলের পাউচ সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মেলা চলাকালীন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য বিদ্যুৎ ও জল সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো কার্যকর ভাবে পরিচালিত হবে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন আশা করছে, এই নতুন সৈকতের উন্নত পরিকাঠামো পুণ্যার্থীদের স্নানের জন্য আরও আকর্ষণীয় হবে এবং ভিড় সামলানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এমন উদ্যোগের ফলে মকর সংক্রান্তির স্নানে ভক্তদের নতুন অভিজ্ঞতা হবে। গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজনের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এ বার প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলার আয়োজন হলেও আমরা ধরে নিচ্ছি প্রতি বার যে সংখ্যক মানুষ গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান করতে আসেন, সেই সংখ্যাতেই তাঁরা আসবেন। তবে ভাঙনের ফলে যে দু’টি সৈকত নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাতে আর পুণ্যার্থীদের পুণ্যস্নান করতে পাঠানো হবে না। অনেক সমীক্ষার পরেই নতুন বিকল্প সৈকত তৈরি করা হয়েছে। এই সৈকত পুণ্যস্নানের পক্ষে অনেকটাই নিরাপদ।’’