মূল অভিযুক্ত রাজা বিশ্বাস। নিজস্ব চিত্র।
পুলিশকে তার সম্পর্কে তথ্য জুগিয়েছে, এই ধারণা থেকেই প্রতিবেশী তথা বন্ধু দীপ মণ্ডলের উপরে আক্রোশ জন্মেছিল চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরের বিশতারিখ এলাকার দুষ্কৃতী রাজা বিশ্বাসের। তাই সে ওই যুবককে মারতে চেয়েছিল। শনিবার ভোরে শহরের শ্যামবাবুর ঘাটে দীপকে গুলি করার অভিযোগে ধৃত রাজা পুলিশের কাছে এমনই দাবি করেছে।
তদন্তকারীদের দাবি, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রাণে বাঁচতে দীপ গঙ্গায় ঝাঁপ মারলে জলেও তিনটি গুলি চালায় রাজা। তবে, সেগুলি দীপের গায়ে লাগেনি।
রাজা এবং অপর ধৃত অভিজিৎ দাস ওরফে গুড্ডুকে রবিবার ৫ দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে চুঁচুড়া আদালত। আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের রাজা বলে, ‘‘দীপ পুলিশকে আমার বিষয়ে নানা কথা জানিয়ে দিয়েছিল। আমার পরিবার নিয়েও খারাপ কথা বলেছিল। তাই, রাগ হয়েছিল।’’ চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা জানান, ধৃতের বক্তব্যের সত্যাসত্য যাচাই করা হবে। দীপ কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে ডাকাতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে রাজাকে জেল খাটতে হয়। তার ধারণা হয়, দীপ তার সম্পর্কে পুলিশকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তাতেই আক্রোশ। দীপকে সে খুনের পরিকল্পনা করে। সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পায় রাজা। তবে, আক্রোশের বিষয়টি দীপকে বুঝতে দেয়নি। শুক্রবার রাতে এলাকায় কার্তিক পুজোয় পংক্তিভোজে খাওয়ার পরে দীপ এবং আরও কয়েক জনকে নিয়ে রাজা মদের আসর বসায়। গুড্ডুর বাড়ি শ্যামবাবুর ঘাটের কাছে। ভোর ৪টে নাগাদ তাকে বাড়ি পৌঁছনোর নাম করে রাজা মোটরবাইকে চাপিয়ে দীপকে সেখানে নিয়ে যায়। সেখানে ফের মদের আসর বসায়। তার পরেই ওই ঘটনা। পেটে গুলি বেঁধা অবস্থাতেই দীপ সাঁতরে কিছুটা দূরে বোসের ঘাটের কাছে ঝোপে লুকিয়ে পড়ে। পরে অনেকটা হেঁটে, মোটরবাইক জোগাড় করে বাড়ি ফেরে।