বেলুড় স্টেশনের মেন লাইন অবরোধ হকারদের। নিজস্ব চিত্র।
হকারদের রেল অবরোধের জেরে ব্যাপক ভোগান্তিতে বর্ধমান মেন সেকশনের নিত্যযাত্রীরা। অবরোধের জেরে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে মেন লাইনে আটকে থাকে আপ ও ডাউনের লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেন। চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েন যাত্রীরা। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ বেলুড় স্টেশনের মেন লাইনের উপর অবরোধে বসেন হকার ইউনিয়নের সদস্যরা।
ওই হকারদের অভিযোগ লকডাউনে দীর্ঘদিন রোজগার বন্ধ থাকার ফলে চরম আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েন তাঁরা। এর পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও তাঁদের নিত্যদিন আরপিএফ-এর হেনস্থার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। আরপিএফ-এর সদস্যরা তাঁদের যখন তখন আর্থিক জরিমানা করছেন। জোর করে আটকেও রাখা হচ্ছে। এই ফলে তাঁদের ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে বলেও হকাররা জানান। এর পর বুধবার হকার ইউনিয়নের এক কর্মীকে আরপিএফ জোর করে আটকে রাখলে তাঁদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে বলেও দাবি হকারদের। এর পরই বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে মেন লাইন অবরোধে বসেন হকার ইউনিয়নের সদস্যরা।
হকারদের আরও দাবি, সম্প্রতি রেল কর্তৃপক্ষ ষ্টেশন সৌন্দর্যায়নের নামে রেল হকারদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা করছে। অন্যদিকে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে দেকান খোলার অনুমতি দিচ্ছে। রাজ্যের কিছু কিছু স্টেশনে রেল পুলিশের সহায়তায় উচ্ছেদের প্রচেষ্টাও হয়েছে। সেখানেও হকাররা সংগঠিতভাবে প্রতিবাদ জারি রেখেছেন বলেও তাঁদের দাবি।
আপ বর্ধমান লোকালের যাত্রী রুদ্র মুখোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি চুঁচুড়ায়। তিনিও হকারদের রেল অবরোধের জেরে চরম দুর্ভোগের মুখে পরেন। তিনি বলেন, ‘‘রাত ৮টা ৪৭-এর বর্ধমান মেন লোকাল সাড়ে ৯টাতেও ছাড়েনি। ব্যান্ডেল লোকাল বাতিল। লকডাউনের পর থেকে ট্রেনের গন্ডগোল লেগেই আছে। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে।’’
তবে প্রায় এক ঘণ্টা পড়ে আরপিএফ-এর তরফ থেকে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হলে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অবরোধ ওঠান বিক্ষুব্ধ হকাররা। স্বাভাবিক হয় রেল চলাচল।