ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো। —ফাইল চিত্র।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রান্তিক স্টেশন হাওড়া ময়দান চত্বর থেকে এখনও সরানো যায়নি দখলদারদের। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়নি ফুটপাত দখল করে থাকা শ্রীমার্কেটের ব্যবসায়ীদেরও। এরই মধ্যে খাস মেট্রো রেলে কর্মরত অস্থায়ী নিরাপত্তারক্ষীরা বুধবার থেকে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করায় হাওড়া ময়দান থেকে যাত্রী পরিষেবা শুরুর ক্ষেত্রে ফের বাধা পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত ১১ বছর ধরে কাজ করা ৯৬ জন অস্থায়ী কর্মীকে আচমকা নোটিস ধরিয়ে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে সেই নোটিস প্রত্যাহার না করলে আগামী কাল, শুক্রবার থেকে এসপ্লানেড-হাওড়া ময়দান পথে পরিষেবা শুরু করতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া ময়দান থেকে মহাকরণ পর্যন্ত মেট্রোপথে রাস্তার উপরে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখাশোনার জন্য মেট্রোর নির্মাণ সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল একটি ঠিকাদার সংস্থার। ঠিক হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট সংস্থা এই কাজের জন্য রক্ষী নিয়োগ করবে। কিন্তু অভিযোগ, কর্মরত ৭০ জন ট্র্যাফিক মার্শাল ও ২৬ জন নিরাপত্তারক্ষীকে এ দিন হঠাৎই কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ার নোটিস ধরানো হয়। এর পরেই বেলা ১২টা থেকে ওই নিরাপত্তারক্ষীরা হাওড়া ময়দান মেট্রো স্টেশন লাগোয়া শরৎ সদনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তাঁরা মাসের পর মাস বেতন না পেলেও কাজ বন্ধ করেননি। এমনকি, করোনাকালেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেলের সম্পত্তি রক্ষা করেছেন। আর এখন তাঁদেরই বসিয়ে অন্য ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের নিয়োগ করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারী রাহুল শর্মা, রাজা শঙ্করেরা জানান, অবিলম্বে তাঁদের কাজে পুনর্বহাল না করলে তাঁরা কাল, শুক্রবার থেকে মেট্রো পরিষেবা শুরুই করতে দেবেন না।
এ ব্যাপারে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীরা একটি ঠিকাদার সংস্থার কর্মী। যে ঠিকাদার সংস্থা বাড়ি তৈরি করল, তারাই যদি ওই বাড়িতে থাকার দাবি জানায়, সেটা কি কেউ মেনে নেবেন? এটাও তেমনই বিষয়। মেট্রোয় যাত্রী পরিষেবা বাধা পেলে তা সামলানোর দায়িত্ব আমাদেরই।’’