National Highway

National highway: বেহাল দশা ঘুচল না পুজোতেও, জাতীয় সড়ক জুড়ে মরণফাঁদ

‘টোল’ দিয়ে কেন মরণফাঁদে চলতে হবে, এই প্রশ্ন চালক এবং আরোহীদের। সমস্যা বেশি কলকাতামু‌খী লেনে।

Advertisement

প্রকাশ পাল

ডানকুনি শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২১ ০৭:৪১
Share:

দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে তৈরি হয়েছে এমনই গর্ত। ডানকুনিতে। ছবি: দীপঙ্কর দে।

প্রতি পদে গর্ত। প্রতি পদে মরণফাঁদ।

Advertisement

পুজো পেরিয়ে গেল। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের বেহাল দশা ঘুচল না। দ্রুতগতির এই পথে চলতে মোটা টাকা ‘টোল’ দিতে হয়। কিন্তু ওই জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশে মোটেই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো যায় না। নিয়মিত যাঁরা এ পথে যাতায়াত করেন, এই অভিযোগ তাঁদের। রাস্তা জুড়ে গর্ত থাকায় প্রতি পদে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে বলে তাঁদের দাবি। খানাখন্দ থেকে বাঁচতেই গাড়ির গতি মন্থর করেন চালকেরা।

‘টোল’ দিয়ে কেন মরণফাঁদে চলতে হবে, এই প্রশ্ন চালক এবং আরোহীদের। সমস্যা বেশি কলকাতামু‌খী লেনে। হুগলিতে এই সড়ক বিস্তৃত গুড়াপ থেকে ডানকুনি পর্যন্ত। সিঙ্গুর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত অংশেই গর্তের পরিমাণ বেশি। কোথাও কোথাও তাপ্পি দেওয়া ওই অংশের পিচ উঠে এবড়োখেবড়ো হয়ে গিয়েছে। চালকদের অভিযোগ, রাতে গর্ত ঠাহর করা মুশকিল। গাড়ি উল্টে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ছোট গাড়ি, মোটরবাইকের নিয়ন্ত্রণ হারানোর আশঙ্কা বেশি।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে দুষে হুগলি জেলা পরিষদের পরিবহণ কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জোড়াতালি দিয়েই ওঁরা ক্ষান্ত। মানুষ ওঁদের নাগাল পান না বলে আমাদের কাছে অভিযোগ করছেন। প্রশাসনের তরফেও জানানো হয়েছে।’’

জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের বক্তব্য, প্রচুর ভারী গাড়ি চলাচলের জন্য রাস্তা খারাপ হলেই দ্রুত মেরামত করা হয়। নিয়মিত এই কাজ চলে। ওই সড়কের প্রকল্প অধিকর্তা স্বপনকুমার মল্লিকের দাবি, ‘‘বড় খানাখন্দ নেই। ছোট কিছু ফাটল হয়েছিল। পুজোর আগে থেকেই মেরামতের কাজ চলছে। কোথাও বাকি থাকলে দ্রুত করা হবে।’’

চালকদের অভিযোগ, মাঝেমধ্যে জোড়াতাপ্পি দিয়ে দায় সারা হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই জোড়াতাপ্পি উঠে সড়ক ফের বেহাল হয়ে পড়ে। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন অংশে রাস্তা থেকে ধারের অংশ এত নিচু যে, কোনও ভাবে একটি চাকা নেমে গেলে গাড়ি উল্টে যেতে পারে বলেও অভিযোগ। ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। রাস্তার পিচের অংশের পাশে মোরাম বিছানো। পাশাপাশি যাওয়ার সময় বহু ক্ষেত্রেই গাড়ি মোরাম বিছানো অংশ দিয়ে চলে। তাতে ধুলোর ঝড় ওঠে। চালকদের পক্ষে তা অসুবিধাজনক।

বৈদ্যবাটীর রবীন্দ্রনাথ ঘোষ গাড়িচালক। প্রায়ই যাত্রী নিয়ে এই সড়ক ধরে তাঁকে যেতে হয়। রবিবার তিনি গিয়েছিলেন বর্ধমানের পারাজে। তাঁর অভিজ্ঞতা, ‘‘বর্ধমানের দিকে যাওয়ার পথে মাঝেমধ্যে ছোট ছোট গর্ত রয়েছে। তবু এই লেনের অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভাল। কিন্তু ফেরার রাস্তার দশা খারাপ। রাতে ঘণ্টায় ২০-৩০ কিলোমিটারের বেশি গতি তোলার ঝুঁকি নিই না, পাছে গর্তে পড়ে গাড়ি উল্টে যায়! টোল প্লাজ়ায় দাঁড়িয়ে অভিযোগ করি। জোড়াতাপ্পি দিলে চলবে না, ভাল ভাবে সংস্কার করতে হবে।’’

ডানকুনির বিশাল প্রজাপতি প্রায়ই এই রাস্তায় মোটরবাইকে যান। তিনিও বলেন, ‘‘কলকাতামুখী রাস্তা খুবই খারাপ। পর পর গর্ত এড়িয়ে চলা কঠিন। বাইকের যন্ত্রাংশ খারাপ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়। গত ৩ অক্টোবর গিয়েছিলাম। সে দিন বাইক থেকে আরোহীকে পড়ে যেতে দেখেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement