পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার আমতার সারদা গ্রামের খাঁ পাড়ায় সুব্রতর নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল আনিসের বাড়িতে যায়। সেখানে ওই দলের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আনিস খানের বাড়িতে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়। —নিজস্ব চিত্র।
ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যুর পর দু’দিন কেটে গেলেও এখনও অধরা সূত্র। রহস্যভেদ করতে হাওড়া গ্রামীণের ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) সুব্রত ভৌমিকের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে। সোমবার ওই দলটি আনিসের বাড়িতে যায়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের বয়ানও রেকর্ড করে। সোমবার আনিসের বাড়িতে যান রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায়। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার আমতার সারদা গ্রামের খাঁ পাড়ায় সুব্রতর নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল আনিসের বাড়িতে যায়। সেখানে ওই দলের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। যেখানে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল আনিসের, সেই এলাকা তাঁরা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। পাশাপাশি, তিনতলা বাড়িটির বিভিন্ন অংশও পরীক্ষা করেন। এর পাশাপাশি আনিসের বাবা সালেম খান-সহ অন্তত ২০ জনের বয়ানও রেকর্ড করা হয়।
সোমবার আনিসের বাড়িতে যান রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী। আনিসের বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরে পুলক জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা করতে চান আনিসের বাবার সঙ্গে। এ কথা শুনে আনিসের প্রতিবেশীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি তোলেন। তাঁরা সিবিআই তদন্তেরও দাবি তুলেছেন। রাজ্যের মন্ত্রীর দাবি, আনিসের বাবা তাঁর প্রস্তাবে প্রাথমিক ভাবে রাজি হয়েছিলেন। তবে অসুস্থ বোধ করায় বিষয়টি আপাতত বাতিল হয়ে যায়। আনিসের বাবা সালেম খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী এলে দেখা হবে। আমি কোথাও গিয়ে কারও সঙ্গে দেখা করব না।’’
সোমবার আনিসের বাড়িতে যায় মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর-এর একটি প্রতিনিধি দলও। এপিডিআর-এর সহ সম্পাদক আলতাফ আহমেদের কথায়, ‘‘আমরা আনিস খুনের নিরপেক্ষ তদন্ত এবং বিচার চাই। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’