খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ নিজস্ব চিত্র
হুগলির মহানাদে মা ও মেয়ের খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। মঙ্গলবার ধৃত মতিয়ার শেখকে নিয়ে এসে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পোলবা থানার পুলিশ। খবর, মদ খাইয়ে স্ত্রী-কে খুনের কথা মতিয়ার স্বীকার করেছে। তার ঘর থেকে মদের বোতল ও চিপসের প্যাকেট পাওয়া গেছে।
১ জুলাই পোলবার মহানাদের শীতলাতলার বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয় পিঙ্কি ওঁরাও ও তাঁর চার বছরের মেয়ে ষষ্ঠীর মৃতদেহ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শীতলাতলা এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ পালের বাড়িতে মাস খানেক আগে ভাড়া থাকতে শুরু করেছিলেন পিঙ্কি ও মতিয়ার। পিঙ্কি তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামীকে ছেড়ে মতিয়ারের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৯ জুন রাতে পিঙ্কি ও ষষ্ঠীকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে মতিয়ার। খুনের আগে সে মদ্যপান করে। খুনের পর মহানাদ থেকে টোটো করে পাণ্ডুয়া যায় সে। এর পর অটোতে করে যায় মেমারিতে তার দিদির বাড়ি। এক দিন সেখানে কাটিয়ে দিদিকে সব খুলে বলে মতিয়ার। দিদি তাকে তখনই চলে যেতে বলেন। মতিয়ার সেখান থেকে চলে যায় বর্ধমানের মন্তেশ্বর। পুলিশ তাকে মন্তেশ্বর থেকেই গ্রেফতার করে। জেরায় মতিয়ার জানিয়েছে, টাকার জন্য পিঙ্কি চাপ দিত, সেই কারণেই খুন করেছে সে।