—প্রতীকী চিত্র।
বড় প্রণামীর বাক্স। সারা বছরই ভক্তরা ওই প্রণামী বাক্সে টাকা দান করেন। সেই টাকাতে হয় বড় মেলা। শুক্রবার সকালে চোরেরা ওই প্রণামী বাক্স থেকে টাকা চুরি করতে এলে এক চোরকে হাতেনাতে ধরে ফেললেন গ্রামবাসীরা। তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যদিও দু’জন পালিয়ে গিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের মুন্সিরহাট ফতেআলি মাজারে ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ওই মাজারের মধ্যে একটি বড় কাঠের প্রণামী বাক্স আছে। তাতে দু’টি বড় তালা লাগানো ছিল। তিন জন চোর টাকা চুরি করতে এসেছিলেন। তাঁরা প্রণামী বাক্সের একটি তালা ভাঙার পর আরও একটি তালাকে করাত দিয়ে যখন কাটছিলেন, তখনই বিষয়টি গ্রামবাসীদের নজরে আসে। তাঁরা চিৎকার করে ধরতে গেলে দু’জন চোর দৌড়ে পালিয়ে যান। আরও একজন চোরকে প্রায় এক কিলোমিটার তাড়া করে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তাঁর হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে জগৎবল্লভপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। গ্রামবাসীরা তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
মাজার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এর আগে ২০১৯ সালে সেখান থেকে টাকা চুরি হয়। সিসিটিভি ফুটেজে চোরেদের ছবি ছিল। তাঁদের সঙ্গে ধৃত চোরের চেহারার যথেষ্ট মিল আছে। কমিটির অনুমান, এর নেপথ্যে একটি বড়সড় গ্যাং রয়েছে, যারা জগৎবল্লভপুরে একাধিক চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ।