ভাইপোকে অপহরণ করে খুনের আগেই ধরা পড়ে গেলেন কাকা। — নিজস্ব চিত্র।
পারিবারিক বিবাদের জের। হাওড়ার ডোমজুড়ে শিশুকে অপহরণ করে খুন করার পরিকল্পনা করেছিলেন কাকা। কিন্তু তার আগেই শিশুটিকে উদ্ধার করল ডোমজুর থানার পুলিশ। মালদহ থেকে রবিবার রাতে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই শিশুর কাকাকে। সোমবার ধৃতকে হাওড়া আদালতে হাজির করানো হবে।
গত শুক্রবার ডোমজুড় থানার অন্তর্গত বেনিয়ারা গ্রাম থেকে একটি শিশু নিখোঁজ হয়ে যায়। পাঁচ বছরের ওই শিশুর নাম রোহন মল্লিক। তার পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন, রোহনকে তার কাকা শাহ আলম মল্লিক অপহরণ করেছেন। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, শাহ আলমের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর ঝামেলা চলছিল। তার ফলশ্রুতিতে সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান স্ত্রী। আর্থিক অনটন ছিল আলমের নিত্যসঙ্গী। তিনি তাঁর দাদা, বৌদির কাছে মাঝেমধ্যেই টাকা চাইতেন বলেও জানা গিয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গেও ঝামেলা মেটানোর আবদার করতেন দাদা, বৌদির কাছে। কিন্তু একটা সময় ভাইকে টাকা দিতে এবং ভাইয়ের দাম্পত্য কলহ মেটাতে অস্বীকার করেন দাদা। এতে দাদার সঙ্গে শত্রুতা তৈরি হয় শাহ আলমের। সেই আক্রোশ গিয়ে পড়ে ভাইপোর উপর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভাইপো রোহনকে অপহরণ করে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন আলম। যদিও পুলিশ তার আগেই আলমকে গ্রেফতার করে ফেলে। তিনি জানিয়েছেন, দাদা, বৌদির সঙ্গে তাঁর ঝামেলা চলছিল। সোমবার তাঁকে হাওড়া আদালতে হাজির করিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ডোমজুড় থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। পুলিশের ভূমিকায় খুশি পরিবারের লোকজন।