পুলিশের জালে মতিয়ার শেখ। —নিজস্ব চিত্র
গত বৃহস্পতিবার হুগলির পোলবা-দাদপুর থানার মহানাদে একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল মা এবং মেয়ের দেহ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বর্ধমানের মন্তেশ্বর থেকে ওই কাণ্ডে এক লরিচালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ধৃত জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে খুনের কথা।
গত ১ জুন, মহানাদের বাসিন্দা সন্তোষ পালের বাড়ি থেকে মা এবং মেয়ের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মহিলার নাম পিঙ্কি ওঁরাও এবং শিশুটির নাম ষষ্ঠী বলে জানতে পারে পুলিশ। তদন্তকারীরা আরও জানতে পারেন, মতিয়ার শেখ এক ব্যক্তির হাত ধরে ঘর ছেড়েছিলেন পিঙ্কি নামে ওই মহিলা। তাঁরা ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন মহানাদে। এর পর থেকেই তৃতীয় ব্যক্তির খোঁজ চলছিল। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থেকে মতিয়ারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জেরায় মতিয়ার জানিয়েছে, ইটভাটায় লরি চালানোর সুবাদে পিঙ্কির সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল। এর পর তারা বিয়ে করে মহানাদে বাড়ি ভাড়া নেয়। মতিয়ারের দাবি, পিঙ্কি টাকার জন্য চাপ দিত। সেই কারণেই প্রথমে পিঙ্কি এবং তার পর তার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করে মতিয়ার।