ধৃতদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
হুগলির শ্রীরামপুরে এটিএমে টাকা ভরার নাম করে লুটের ঘটনায় এক আইনজীবী-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে মোট এক কোটি ১২ লক্ষ টাকা। তদন্তকারীদের মতে, ধৃত ওই আইনজীবীই এটিএমের টাকা লুটের মূল ষড়যন্ত্রকারী। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ মে শ্রীরামপুর থানায় ‘সিকিওর ভ্যালু ইন্ডিয়া লিমিটেড এজেন্সি’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থার তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগ করা হয়েছিল, গত ২ মে তাঁদের কয়েক জন কর্মচারী এটিএমে টাকা না ভরে এক কোটি ২৯ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। এর পর শ্রীরামপুর থানার পুলিশ তদন্তে নামে। গত ৮ ই মে শ্রীরামপুরের মাহেশ থেকে ওই কাণ্ডে অভিযুক্ত সন্তু দত্ত, রিষড়ার বাসিন্দা সঞ্জিৎ সরকার এবং সঞ্জিৎ পাত্র নামে তিন জনকে গ্রেফতার করে। তবে ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শ্রীরামপুরের মাহেশ কলোনির বাসিন্দা দীপঙ্কর মোদক বেপাত্তা ছিলেন। গত শুক্রবার শ্রীরামপুর থেকে দীপঙ্করকে এবং সোনারপুর থেকে শিবশঙ্কর ঠাকুর নামে এক আইনজীবীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
এখনও পর্যন্ত ওই কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ৫ জনকে। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে চন্দননগর কমিশনারেটের ডিসিপি শ্রীরামপুর অরবিন্দ আনন্দ জানিয়েছেন, ধৃতদের থেকে এখনও পর্যন্ত মোট এক কোটি ১২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮০০ টাকা পাওয়া গিয়েছে। ধৃতরা এখন পুলিশি হেফাজতে।ডিসিপি জানিয়েছেন, ধৃতরা উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর এবং ব্যান্ডেলের এসবিআই এটিএমগুলিতে টাকা ভরতেন। সেই সুযোগ নিয়েই তাঁরা এটিএমে টাকা না ভরে তা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ধৃত আইনজীবীর থেকে ২৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ওই চক্রে আরও লোক জড়িত বলেও মনে করা হচ্ছে।