যে পথে এগোচ্ছে মোকা। ছবি সৌজন্যে: জুম আর্থ।
মায়ানমারের সিতওয়া উপকূলে আছড়ে পড়ল মোকা। তবে ঝড়ের ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া কয়েক ঘণ্টা ধরে চলবে বলে জানানো হয়েছে মৌসম ভবনের তরফে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূলে আরও ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে পারে মোকা। তাই সতর্ক রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও।
আবহবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়া মোকা মায়ানমারের দিকে এগিয়ে গেলেও, দুর্যোগের আশঙ্কা থাকছে বাংলাদেশের কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং পায়রা বন্দরে।
স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার আগেই ২০০ কিমি বেগে বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং সিতওয়ে বন্দর সংলগ্ন উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মোকা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, রবিবার দুপুরে মায়ানমারের সিতওয়ে বন্দরে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় মোকা। মোকার অভিঘাতে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বাংলাদেশের কক্সবাজার, মহেশখালি এবং সেন্ট মার্টিন বন্দরে। ইতিমধ্যেই মাইকিং করে উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
ভূ-ভাগে আছড়ে পড়তে চলেছে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়া মোকা। আপাতত তার অবস্থান পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। তা ক্রমশ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, দুপুরেই তা স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। আছড়ে পড়ার অবস্থান হবে দক্ষিণপূর্ব বাংলাদেশ এবং উত্তর মায়ানমার উপকূল, বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কিয়াকফিউয়ের মাঝামাঝি।