—প্রতীকী চিত্র।
পানীয় জল সরবরাহের পাইপলাইনে সমস্যার জেরে প্রবল গরমে দিনকয়েক জলকষ্টে ভুগলেন বালি-জগাছা ব্লকের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বালি পুরসভা থেকে পাঠাতে হল জলের ট্যাঙ্কার। প্রশ্ন উঠেছে, সংস্কারের অভাবেই কি পাইপলাইন ফেটে সমস্যা তৈরি হল?
পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক বলে দাবি করে শুক্রবার হাওড়া জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তাপস মাইতি বলেন, ‘‘তিন-চার দিন সমস্যা হলেও এখন মিটে গিয়েছে। সংস্কারের অভাব নয়, প্রযুক্তিগত কিছু গোলযোগ মেরামত করতে সময় লেগেছে।’’ দুর্গাপুর-অভয়নগরে বালি-জগাছা ব্লকের জল প্রকল্প রয়েছে। বালি-জেটিয়া ঘাটের ইনটেক জেটি থেকে জল তুলে ওই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন পঞ্চায়েতে তা সরবরাহ করা হয়। ওই জল প্রকল্পের কাছে মাটির নীচে একটি পাইপে ৯০ ডিগ্রি বাঁক রয়েছে। এমনিতেই বাঁকের জায়গায় জলের গতি বেশি থাকে। গরমে জলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বেশি পরিমাণ জল সরবরাহ করতে গিয়ে গতি আরও বেড়ে যাওয়ার ফলেই বিপত্তি ঘটে। বাঁকের জায়গায় পাইপ ফেটে গিয়ে জল বেরোতে শুরু করে। সেটি সারাতে গিয়ে দেখা যায়, দু’টি পাইপের সংযোগও ঠিক মতো নেই। সেটিরও সংস্কার শুরু করে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাইপ সারাতে দু’দিন লাগবে বলা হলেও চার দিন লেগেছে। জলকষ্ট মেটাতে বালি পুরসভা থেকে সংলগ্ন নিশ্চিন্দা, সাঁপুইপাড়া, ঘোষপাড়ার মতো পঞ্চায়েত এলাকায় চার দিন ধরে ১৫-২০টি করে জলের গাড়ি পাঠানো হয়েছে। পুরসভার এক কর্তা বলেন, ‘‘এই গরমে জল না পেলে চরম ভোগান্তি হত। তাই জলের গাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’’ কিন্তু বাসিন্দাদের প্রশ্ন, বালি-জগাছা ব্লকে জলের সমস্যা মিটবে কবে? জলের গাড়ি পাঠিয়েই কি বার বার সামাল দেওয়া হবে?
তাপসের দাবি, বালি-জগাছা ব্লকের ন’টি পঞ্চায়েতে পানীয় জল সরবরাহের জন্য যে প্রকল্প নেওয়া হয়, তাতে ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালে ৬৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়। ২০১৯ সালে জল সরবরাহ শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘‘পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় বালি, নিশ্চিন্দা, চকপাড়া ও চামরাইলের কিছু অংশে সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে নতুন প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’ তাতে ইনটেক জেটির ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জয়পুরে আরও একটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি করা হবে।