অঘটন: চাঙড় ভেঙে দু’জন জখম হওয়ার পরে সেই গাড়ি বারান্দার মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার, হাওড়া হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র।
দিদিমার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন নাতনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বাবা। দু’জনে অন্য আত্মীয়দের জন্য অপেক্ষা করছিলেন হাসপাতালের গাড়ি বারান্দার নীচে। আচমকাই বাবা-মেয়ের মাথার উপরে ভেঙে পড়ল কংক্রিটের চাঙড়। মাথা ফেটে গুরুতর আহত হলেন দু’জনেই।
মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে। পুলিশ জানায়, ওই রাতে হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রাতেই সেখানে চলে আসেন বৃদ্ধার নাতনি শ্রেয়সী ভট্টাচার্য ও তাঁর বাবা, অর্থাৎ বৃদ্ধার জামাই নিশীথরঞ্জন ভট্টাচার্য। পুলিশ জানায়, তাঁরা যখন এস এন দাস ভবনের গাড়ি বারান্দার নীচে অপেক্ষা করছিলেন, তখনই ভেঙে পড়ে একটি বড় সিমেন্টের চাঁই। মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। মাথায় সেলাই করার পরে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে বলা হলেও তাঁরা থাকেননি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি।
এ দিকে, এই ঘটনাকে ঘিরে রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, গত বছর হাসপাতালে মেরামতি করার পরেও এমন দুর্ঘটনা ঘটল কী করে? হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে গাড়ি বারান্দার চাঙড় ভেঙে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তার ছাদটিও পরিষ্কার করে মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, ওই ছাদে গাছের পাতা ও হাসপাতালের জানলা দিয়ে ফেলা আবর্জনা দিনের পর দিন পড়ে থাকায় সেখানে জল জমে মেঝে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার জেরেই চাঙড়টি খসে পড়ে।
হাওড়া জেলা হাসপাতালের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘এই সব রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে পূর্ত দফতর। গত সপ্তাহেও ওই দফতরের কর্মীরা গাড়ি বারান্দার ছাদ পরিষ্কার করেছেন। কিন্তু তার আগে পরিষ্কার করা হত কি না, জানি না।’’ জেলার পূর্ত দফতরের এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারের যদিও দাবি, ‘‘আমরা ছাদ তৈরি করি। পরিষ্কার করার দায়িত্ব হাসপাতালের। তাদের তরফে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই জল জমে ছাদ নষ্ট হয়েছে।’’