শাসকদলের জিলিপি এবং চারাগাছ বিতরণ পর্ব। নিজস্ব চিত্র।
এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত ভোট। জোর কদমে প্রচারে নেমে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। সেই আবহেই উল্টোরথের দিন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে প্রায় একশো কেজি জিলিপি বিতরণ করা হল তৃণমূলের তরফে। একই সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হল একটি করে চারাগাছ। তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থেকে পথচলতি মানুষ, এলাকার দোকানদার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজের হাতে জিলিপি বিতরণ করেন তৃণমূলের হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) চেয়ারম্যান ও বিধায়ক সমীর পাঁজা। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের প্রার্থী সুলেখা পাঁজাও।
সিংটি পঞ্চায়েতের রাজাপুর, সিংটি বাজার, বাসস্ট্যান্ড ও সিনেমাতলা এলাকায় সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল শাসকদলের জিলিপি বিতরণ পর্ব। মিষ্টিমুখ করিয়ে এবং গাছের চারা বিতরণ করে দিনভর কর্মসূচি চলে। বুধবারের সেই কর্মসূচিকে ঘিরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উৎসাহ ছিল তুঙ্গে।
যদিও তৃণমূলের সেই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধী শিবিরগুলি। বিরোধীদের দাবি, জিলিপি বিতরণের মাধ্যমে আসলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নেমেছে শাসকদল। যদিও বিরোধীদের সেই দাবিকে ভ্রান্ত বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূলের জিলিপি বিতরণ প্রসঙ্গে সিপিআইএম জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘জিলিপি খাইয়ে মানুষকে প্রলোভিত করা হচ্ছে। কিন্তু এতে কোনও লাভ হবে না। তৃণমূল সম্পর্কে মানুষ বুঝে গেছে। এ বার ভোটে জনগণ তৃণমূলের পক্ষে রায় দেবেনা।’’
কংগ্রেস নেতা অসিত মিত্রের কথায়, ‘‘জিলিপি খাইয়ে মন জেতার চেষ্টা করছে শাসক দল। কিন্তু কোনও লাভ নেই। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে ভোটের ফলাফল অন্য হবে।’’
অন্য দিকে উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক ও হাওড়া জেলা তৃণমূলের (গ্রামীণ) চেয়ারম্যান সমীর পাঁজা জানান, প্রতি বছর রথের সময় মহাপ্রভু জগন্নাথের প্রসাদ হিসাবে জিলিপি বিতরণ করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রায় একশো কেজি জিলিপি এবং সঙ্গে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য যা উন্নয়ন করেছেন তাতে সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছেন। বিরোধীরা কে কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না।’’