আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে ধৃত দুষ্কৃতী। — নিজস্ব চিত্র।
বন্দুক হাতে নিয়ে আবাসনে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছিল এক যুবক। একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে মহিলার গলা টিপে ধরার অভিযোগও উঠেছিল। মহিলাদের তৎপরতায় ধরা পড়ে গেল সেই দুষ্কৃতী। গণধোলাই দেওয়ার পর তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে পুলিশের হাতে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার জগাছা থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে জগাছা থানার নন্দীপাড়ার একটি আবাসনে এক দুষ্কৃতী ঢুকে পড়ে। এর পর নিধি ঝা নামে ওই আবাসনের বাসিন্দার ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে ওই আগ্নেয়াস্ত্রধারী দুষ্কৃতী। কলিং বেলের আওয়াজ শুনে নিধি দরজা খুললে ওই দুষ্কৃতী তাঁর গলা টিপে ধরে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, লুটপাট চালানোর উদ্দেশে নিয়ে হামলা চালায় ওই দুষ্কৃতী। ওই আবাসনের বাসিন্দা কেয়া মাল বলেন, ‘‘চার তলার ফ্ল্যাটের মাসিমার চিৎকার শুনে আমরা বেরিয়ে পড়ি। তখন ওই দুষ্কৃতী ধরা পড়ার ভয়ে আবাসনের সিঁড়ি দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। যদিও আবাসনের নীচে জড়ো হয়ে যান মহিলারা। তাঁদের হাতে ধরা পড়ে যায় ওই দুষ্কৃতী।’’ দুষ্কৃতীকে পোস্টে বেঁধে গণপিটুনিও দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পর জগাছা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুষ্কৃতীর নাম সাইফুল সর্দার (৩৫)। তার কাছে পাওয়া গিয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জগাছা থানার পুলিশ।