Murder

Death: প্রৌঢ়কে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ পাণ্ডুয়ায়, তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতর

পাণ্ডুয়ার বেড়েলা গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ রায় পেশায় দিনমজুর। রবিবার রাতে তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাণ্ডুয়া শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২২ ১৫:২৫
Share:

প্রৌঢ়কেে পিটিয়ে খুন। প্রতীকী চিত্র।

প্রৌঢ়কে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল হুগলির পাণ্ডুয়ায়। আর এ নিয়েই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। তৃণমূলের দাবি, নিহত প্রৌঢ় তাঁদের দলের কর্মী। বিজেপি তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।

Advertisement

পাণ্ডুয়ার বেড়েলা গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণ রায় পেশায় দিনমজুর। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁর আত্নীয় পরিজন এবং পুলিশকর্মীরা। তাঁকে পাণ্ডুয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকরা কৃষ্ণকে মৃত বলে জানান। কৃষ্ণের ভাই মোহন রায়ের কথায়, ‘‘আমার দাদা তৃণমূল করে। ও রবিবার চুঁচুড়ায় বিজেপির মিটিংয়ে যায়নি। ও রাতে কাজ থেকে এসে ক্লাবের দুয়ারে গিয়ে শুয়েছিল। তার পর ওকে ওখান থেকে ফেলে দেওয়া হয়। দাদা পাল্টা গালিগালাজ করেছিল। তার পর দাদাকে মারধর করে ক্লাবের সদস্য কটা বাগ, সুমন সিংহ এবং তাঁর বাবা বাবলু সিংহ। এর পর খবর পেয়ে আমকা দাদাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে জানতে পারি, উনি মারা গিয়েছেন। মনে হয়, মিটিংয়ে যায়নি বলেই দাদাকে মারধর করা হয়েছে।’’

বিষয়টি নিয়ে বিজেপিকে বিঁধেছে তৃণমূল। পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্য়ায়ের অভিযোগ, ‘‘গতকাল কৃষ্ণ রায়কে সমাবেশে যেতে জোর করা হচ্ছিল। তিনি রাজি হননি। তার পর রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এসে মারধরা করা হয়। বিজেপি মুখে সন্ত্রাসের কথা বলে নিজেরাই সন্ত্রাস করছে। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি তুলছি। আমরা এই পরিবারের পাশে আছি। ওরা অরাজকতার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে।’’

Advertisement

এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদারের দাবি, ‘‘এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। বিজেপি কখনই তৃণমূলের লোককে টানাহেঁচড়া করতে যায় না। আমাদের যা লোক আছে তাতে তৃণমূলের লোকজন লাগে না। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হতে পারে। বিজেপি মারামারি করতে যায় না।’’

পুলিশ এই ঘটনায় তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তাঁরা বিজেপির কেউ নন বলে জানিয়েছেন তুষার। পাণ্ডুয়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণ মত্ত অবস্থায় ছিলেন। গালিগালাজ করা নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত হয়।

এ নিয়ে হুগলি (গ্রামীণ)-র পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘একটা মারামারির ঘটনা থেকে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগে কোনও রাজনৈতিক কারণ নেই। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement