প্রতীকী ছবি।
সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে হুগলির চুঁচুড়ায় গ্রেফতার এক। ধৃতের নাম পার্থ মণ্ডল। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া স্টেশন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পার্থকে শুক্রবার চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। ১০ দিনের জন্য ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের সাঁইবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা স্বপন দাস তাঁর ছেলে কৌশিক ও মেয়ে চামেলির চাকরির জন্য সাড়ে ১১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন পার্থকে। কখনও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতর, কখনও প্রাথমিক স্কুল, আবার কখনও স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে ধাপে ধাপে টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। স্বপন পুলিশকে জানিয়েছেন, গত ১১ এপ্রিল তিনি একটি নিয়োগপত্র হাতে পান। সেটি ছিল হুগলি জেলা হাসপাতালের গ্রুপ ডি-র পদের। নিয়োগপত্রটি সিল মারা ছিল। তাতে বিশ্ববাংলার সরকারি লোগোও ছিল। তবে পার্থ তাঁকে জানিয়েছেন, আরও লাখ দেড়েক টাকা দিলে তবেই চাকরি পাওয়া যাবে। তাতেই সন্দেহ হয় স্বপনের। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে এসে তিনি জানতে পারেন, তিনি প্রতারিত হয়েছেন। তাঁকে জানানো হয়, নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। এর পরেই স্বপন চুঁচু়ড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
স্বপন জানিয়েছেন, তিনি পার্থকে ফোন করে চুঁচুড়ায় আসতে বলেন। সেখানে টাকা নিতে এসে পুলিশের জালে ধরা পড়েন পার্থ। স্বপনের দাবি, পার্থ চণ্ডীপুরে সিপিএমের সদস্য। শুক্রবার আদালত চত্বরে অবশ্য পার্থ দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই প্রতারণা চক্রে আরও অনেকেই জড়িত থাকতে পারেন। সেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।