—প্রতীকী চিত্র।
জমি নিয়ে চলা বিবাদ মেটাতে গ্রামে বসেছিল সালিশি সভা। সেই সভাতেই হল রক্তারক্তি। খুন হলেন এক জন। জখম অন্তত তিন জন। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শ্যামপুর থানা এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার রাতে শ্যামপুর থানার বাছরি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপাবাড় গ্রামে একটি সালিশি সভা বসেছিল। দুই পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিবাদের ফয়সালা করতে ডাকা হয়েছিল সেই সভা। কিন্তু সেই সালিশি সভার মাঝপথে শুরু হয় হট্টগোল। জিয়াউল খান এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে রাজা খানের পরিবারের মধ্যে বিতণ্ডা হয়। অভিযোগ, কথা কাটাকাটির মধ্যে আচমকা ছুরি বার করেন রাজা। তা দিয়ে জিয়াউলকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন তিনি। সালিশি সভার মধ্যেই মৃত্যু হয় জিয়াউলের। জখম হন আরও তিন জন। তাঁদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। বর্তমানে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁরা।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ২৮ বছরের রাজা এবং তাঁর বাবা নজরুল খান এই হামলার জন্য দায়ী। এক সদস্য বলেন, ‘‘শনিবার রাতে সালিশি সভা বসেছিল। অনেক রাত পর্যন্ত সভা হয়েছিল। বাদানুবাদ হয়। কিন্তু কোনও মীমাংসা হয়নি। তখন হঠাৎই ছুরি নিয়ে রাজা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ছুরির এলোপাথাড়ি কোপে জিয়াউলের মৃত্যু হয়।’’ এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী সাইফুল খানের। অভিযোগ, তাঁর নেতৃত্বেই সালিশি সভা চলাকালীন জিয়াউল খান, সাবিনা বেগম, ইন্তাজুল খান এবং রহিমা বেগমকে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করেন রাজা।
হাওড়া গ্রামীনের পুলিশ সুপার স্বাতী বাঙ্গালিয়া বলেন, ‘‘জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল। সে সব মেটাতে আলোচনা হচ্ছিল। তখনই ওই ঘটনা ঘটে।চার জন ছুরির আঘাতে জখম হন। যার মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।’’ ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পুুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।