Langcha

১৫ দিন আগে ভেজে বস্তাবন্দি মিষ্টি! শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে ফের অভিযান, থানায় দায়ের অভিযোগ

২১ জুলাই তৃণমূলের ধর্মতলার কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়া-আসা করা হাজার হাজার মানুষ ল্যাংচা কিনতে আসেন এখানে। সেই ল্যাংচার মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার এক বার অভিযান হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শক্তিগড় শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৪ ১১:৪৩
Share:

ছত্রাকে ভর্তি ল্যাংচা! —নিজস্ব চিত্র।

শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে আবার অভিযান চালাল প্রশাসনের। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে অভিযানে তিন কুইন্টাল মিষ্টি বাতিল করার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খাদ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান জেলা উপস্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী।

Advertisement

ল্যাংচা হাবে অভিযানে গিয়ে দোকানগুলিতে হানা দেওয়ার পাশাপাশি যেখানে ল্যাংচা তৈরি করে রাখা হয়, সেসব গুদামেও হানা দেন আধিকারিকরা। অভিযানে ছিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর, খাদ্য বিভাগ, ক্রেতা সুরক্ষা বিভাগ এবং পুলিশ।

জাতীয় সড়কের পাশের বিখ্যাত এই ল্যাংচা হাবে যাতায়াতের পথে মিষ্টি কিনে খান অসংখ্য মানুষ। লক্ষ লক্ষ টাকার কেনাবেচা হয়। ২১ জুলাই তৃণমূলের ধর্মতলার কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়া-আসা করা হাজার হাজার মানুষ ল্যাংচা কিনতে আসেন এখানে। সেই ল্যাংচার মান নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার এক বার অভিযান হয়। তার পর আবার অভিযানে নামল প্রশাসন। শনিবারের অভিযান নিয়ে সুবর্ণ বলেন, ‘‘বেশ কিছু জায়গায় দেখা যাচ্ছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ল্যাংচা তৈরি হচ্ছে। ১৫ দিন আগে থেকে ল্যাংচা ভেজে বস্তায় বস্তায় তুলে রাখা ছিল। দেখা যায়, ছত্রাকে ভর্তি সেগুলো। বেশ কয়েক কুইন্টাল ল্যাংচা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। খাবার অযোগ্য ওই সমস্ত মিষ্টি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এগুলো খেলে স্বাস্থ্যহানি অবধারিত। এমনকি, নানা রকম পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। স্বাস্থ্যবিধির কোনও খেয়াল রাখা হয়নি। দু’-একটি দোকান ছাড়া বেশিরভাগ কারখানায় ঝুল-কালির মধ্যে রান্না চলছে।’’ তিনি জানান, মানুষের স্বাস্থ্যের প্রশ্ন যেখানে রয়েছে, সেখানে প্রশাসন কড়া হবেই। আইন মেনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

অন্য দিকে, বেশ কয়েক জন ল্যাংচা ব্যবসায়ী আবার অন্য ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। প্রভাত ঝা, কাসেদ মণ্ডল, বিশ্বজিৎ দাস প্রমুখ ব্যবসায়ীরা জানান, এত পরিমাণ ল্যাংচা প্রতি দিন তাঁদের পক্ষে ভাজা সম্ভব নয়। ২১ জুলাই ব্যাপক চাহিদা থাকে। তাই আগের দিন বানিয়ে রেখেছিলেন। কারও কারও আষাঢ়ে যুক্তি, ‘‘ল্যাংচা বা সীতাভোগ টাটকা দেওয়া সম্ভব নয়।’’ আবার এই অভিযোগও উঠেছে, প্রশাসন কারও কারও কথায় বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়েছে ওয়ারেন্ট ছাড়াই। সংগঠনের তরফে আইনের আশ্রয় নেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement