তাঁর বাড়ির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র।
জিটি রোডের ধারে বস্তাবন্দি কিছু পড়ে থাকতে দেখে ভিড় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভেবেছিলেন কেউ হয়তো বস্তায় ভরে কিছু ফেলে দিয়ে গিয়েছে। সন্দেহ দানা বাধঁছিল, লাশটাশ নয়তো! কিন্তু কাছে যেতেই নড়েচড়ে উঠল বস্তা। ভিড়ের কৌতূহল বাড়ল লাফিয়ে। কেউ আবার সেই কৌতূহলের বশে বস্তায় টান মারতেই আবাক কাণ্ড! বস্তার ভিতর থেকে বেরিয়ে এলেন সাদা চুলের এক বৃদ্ধা।
শনিবার রাত ন’টা নাগাদ চুঁচুড়ার প্রিয়নগর এলাকায় জিটি রোডের ধারে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বৃদ্ধাকে বস্তার মধ্যে থেকে বেরোতে দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যান ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা ওই বৃদ্ধাকে বস্তা থেকে বার করতে চাইলেও তিনি বস্তার মধ্যেই পা ঢুকিয়ে বসে থাকেন। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়া থানার মহিলা পুলিশকর্মী রাখি ঘোষের ছেলে প্রদীপ্ত ঘোষ। তিনি তাঁর মাকে ফোন করে ঘটনাটি জানান এবং ওই বৃদ্ধাকে একটি কেক কিনে দেন।
তখন থানাতেই ছিলেন ওই পুলিশকর্মী। তিনি ছেলের ফোন পেয়ে থানার বড়বাবুকে ঘটনাটি জানান। বড়বাবু তাঁকে তৎক্ষণাৎ গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দেন। এক মহিলা পুলিশকর্মীকে নিয়ে রাখি ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন এলাকায় ভিড় জমে গিয়েছে। তখনও ওই বৃদ্ধা বস্তার মধ্যে পা ঢুকিয়ে বসে আছেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় হিন্দিভাষী ওই বৃদ্ধা জানান, তাঁর বাড়ি অশোকনগরে। নাম অন্নু কুমারী। ট্রেনের করেই তাঁকে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু ঠিক কী ভাবে আনা হয়েছে, তা সবিস্তারে কিছু তিনি বলতে পারেননি। তাঁর কথাবার্তাও কিছুটা অসংলগ্ন ছিল। বাড়িতে কেউ আছেন কি না তা-ও জানাতে পারেননি ওই বৃদ্ধা।
পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তাঁর বাড়ির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।