Vegetable Sellers

ক্লাস্টারের জন্য কমবে জায়গা, ক্ষোভ আনাজ ব্যবসায়ীদের

এ বার সেখানে কৃত্রিম ফুল ও গয়নার ক্লাস্টার গড়ার পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন। সেটা নিয়েই ক্ষোভ জানিয়েছেন ওই পাইকারি বাজারের চাষি ও ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই ক্লাস্টার হলে তাঁদের জায়গা কমে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বলাগড় শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৩ ০৮:৩২
Share:

গুপ্তিপাড়ার সেই আনাজ বাজার। নিজস্ব চিত্র।

পূর্ত দফতরের চার বিঘা জায়গা জুড়ে প্রায় ৪০ বছর ধরে পাইকারি আনাজ বাজার বসে বলাগড়ের অসম লিঙ্ক রোড সংলগ্ন গুপ্তিপাড়ার বাঁধাগাছি গোডাউন এলাকার একাংশে। এ বার সেখানে কৃত্রিম ফুল ও গয়নার ক্লাস্টার গড়ার পরিকল্পনা করেছে জেলা প্রশাসন। সেটা নিয়েই ক্ষোভ জানিয়েছেন ওই পাইকারি বাজারের চাষি ও ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, ওই ক্লাস্টার হলে তাঁদের জায়গা কমে যাবে। খদ্দেরের আনাগোনা কমে যাওয়ার আশঙ্কাও করছেন তাঁরা।

Advertisement

আড়তদার বাসুদেব দাসের ক্ষোভ, ‘‘জায়গা ছোট হয়ে গেলে কেনাবেচা করতে সমস্যায় পড়ব। আর অত কম জায়গায় এত চাষি তাঁদের বাজার নিয়ে বসবেন কী করে?’’ প্রদীপ কোলে নামে আর এক চাষির দাবি, ‘‘ওই ক্লাস্টার যেমন হবে, তেমনই আমাদের জন্য মান্ডি করে দেওয়া হোক। সেখানে আমরা বাজার নিয়ে বসতে পারব।’’

বলাগড়ের বিডিও নীলাদ্রি সরকার অবশ্য বলেন, ‘‘ওই জমিকে তিন ভাগ করে খেলার মাঠ, আনাজের পাইকারি বাজার, কৃত্রিম ফুলের ক্লাস্টার করা হবে। সেখানেই সকলকে মিলেমিশে বসতে হবে। এ নিয়ে চাষি-আড়তদারদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সম্মতি মেলার পরেই কাজ শুরুর পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’

Advertisement

গুপ্তিপাড়া প্লাস্টিক অ্যান্ড আর্টিফিশিয়াল প্রোডাক্টস ক্লাস্টার শিল্প সমবায় সমিতির সদস্য দীপঙ্কর পোদ্দার বলেন, ‘‘কৃত্রিম ফুলের কাজের সঙ্গে যুক্ত চারশোর বেশি শ্রমিক রয়েছেন গুপ্তিপাড়ায়। একশোর বেশি ব্যবসায়ী রয়েছেন। এই কারখানা হলে তাঁদের রোজগার বাড়বে। বাড়বে কর্মসংস্থান।’’ এক কৃত্রিম ফুলশিল্পীর কথায়, ‘‘গুপ্তিপাড়ার ফুল এখন বিদেশেও যাচ্ছে। কারখানা হলে সেই বিক্রি আরও বাড়বে। আমাদের রোজগারও বাড়বে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement