জমি বিবাদে খুন। প্রতীকী চিত্র।
জমি নিয়ে বিবাদে মায়ের সামনেই এক যুবককে পিটিয়ে, কাচের বোতল ভেঙে গলায় ঢুকিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী মহিলা ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার, দোলের দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলার জনাইয়ের চিকরন্ড এলাকায়। অভিযুক্ত মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নিহতের নাম কৃষ্ণেন্দু দাস (৩২)। তিনি দোকানে দোকানে ব্যাগ বিক্রি করতেন।
হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশের আধিকারিকেরা জানান, নিহতের মা যূথিকা দাসের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃত রুনু সিংহের দুই ছেলে অভিষেক ও অবিনাশ পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ময়নাতদন্তের পরে গ্রামে ফেরার সময়ে বুধবার সন্ধ্যায় চণ্ডীতলা থানার সামনে অহল্যাবাই রোডে দেহ রেখে অবরোধ করেন কয়েকশো মানুষ। তাঁদের দাবি, পলাতক দু’জনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশের আশ্বাসে ঘণ্টাখানেক পরে অবরোধ ওঠে। তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা অভিযুক্তদের আড়াল করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘পুলিশ তদন্ত করছে। আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা পুলিশ নেবে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি জমি নিয়ে ওই দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিবাদ চলছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ত নিয়ে ফের বচসা বাধে। অভিযোগ, রুনু ও তার দুই ছেলে বাঁশ, শাবল দিয়ে কৃষ্ণেন্দুকে পেটায়। ছেলেকে বাঁচাতে গেলে যূথিকাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
যূথিকার কথায়, ‘‘রড-বাঁ দিয়ে পিটিয়ে আমার চোখের সামনেই কাচের বোতল ভেঙে ছেলের গলায় ঢুকিয়ে দিল ওরা। ওদের কঠোর শাস্তি চাই।’’
জানা গিয়েছে, অভিষেক নৈটি পঞ্চায়েতের আবর্জনা বহনকারী গাড়ির চালক। এলাকাবাসীর অভিযোগ, অবিনাশ সাট্টার ঠেক চালায়।এলাকায় তাদের দাপট রয়েছে।কৃষ্ণেন্দু ‘ভাল ছেলে’ বলেই পরিচিত ছিলেন এলাকায়।