১৯৯৫ সালে প্রথমবার কংগ্রেসের টিকিটে তিনি ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার নির্বাচিত হন। তার পর দল পরিবর্তন এবং ২০০০ সালে তৃণমূলের কাউন্সিলার হন। ২০০৫ সালে পুরভোটে জিতে চন্দননগর পুরসভার বিরোধী দননেতা হন। প্রথম বার চন্দননগরের মেয়র হন ২০১০ সালে।
চলছে মিষ্টিমুখ পর্ব। নিজস্ব চিত্র
এই নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য চন্দননগরের মেয়র হলেন রাম চক্রবর্তী। ১২ ফেব্রুয়ারি চন্দননগর পুরসভার ৩৩ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩২টি ওয়ার্ডে নির্বাচন হয়। একটি ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় ভোট স্থগিত রাখা হয়। রাম চক্রবর্তী ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৮১৬ ভোটে জয়ী হন।
কলেজে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু। ১৯৯৫ সালে প্রথমবার কংগ্রেসের টিকিটে তিনি ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার নির্বাচিত হন। তার পর দল পরিবর্তন এবং ২০০০ সালে তৃণমূলের কাউন্সিলার হন। ২০০৫ সালে পুরভোটে জিতে চন্দননগর পুরসভার বিরোধী দননেতা হন।
২০০৬ সালে চন্দনননগর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূ্ল প্রার্থী ছিলেন রাম চক্রবর্তী। কিন্তু প্রায় ১৭ হাজার ভোটে সিপিএমের শিবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পরাজিত হন তিনি। প্রথম বার চন্দননগরের মেয়র হন ২০১০ সালে। ২০১৫ সালেও মেয়র পদে তাঁর উপরেই আস্থা রাখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ এ তৃতীয় বারের জন্য আবারও মেয়র হলেন রাম চক্রবর্তী। শুক্রবার দলের কর্মসমিতির বৈঠকে চন্দননগরের মেয়র হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই খবর চন্দননগরে দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছনোর পরই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন রাম চক্রবর্তী। দলীয় কর্মীরা তত ক্ষণে তাঁর মাথায় সবুজ আবীর মাখিয়ে দিয়েছে। চন্দননগরের ভাবী মেয়র বলেন, ‘‘পুরনিগমে জয়ের ডবল হ্যাটট্রিক করেছি। ধন্যবাদ দলনেত্রীকে আমার উপর আস্থা রাখার জন্য। নাগরিক পরিষেবার দিকে নজর দেওয়াই হবে প্রথম কাজ। চন্দননগরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে গত ১০-১১ বছরে। উড়ালপুল থেকে জলপ্রকল্প। নাগরিক স্বাচ্ছন্দ অনেক বেড়েছে। শহরকে আরও পরিচ্ছন্ন করতে হবে। কঠিন বর্জ্য পরিচালনার কাজও শুরু হয়েছে।’’
এই প্রসঙ্গে তিনি চন্দননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উল্লেখ করে বলেন, ‘‘তাঁর উদ্যোগে মাটির তলা দিয়ে বিদ্যুৎ যাওয়ার জন্য একশ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার কাজ শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর চালু করা বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা চন্দননগরবাসী পাচ্ছেন। আমাদের কাজ হবে সেই পরিষেবা থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হন সেটা দেখা।’’