পরিযায়ী শ্রমিক। —ফাইল চিত্র।
প্রচারে খামতি রাখা হয়নি বলে দাবি প্রশাসনের। তা সত্ত্বেও, আজ, শুক্রবার থেকে রাজ্যে সপ্তম দফার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তির কাজ কতটা মসৃণ ভাবে হবে তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। কারণ, বাইরে থাকা হাওড়ার শ্রমিকদের অনেকেই জানিয়েছেন, কর্মসূচির কথা তাঁদের জানা নেই। হুগলিতে আবার কেউ কেউ আবার সুবিধা কতটা মিলবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এ বারের কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছে শ্রম দফতরের ‘কর্মসাথী’(পরিযায়ী) প্রকল্পে শ্রমিকদের কল্যাণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাঁদের নাম নথিভুক্তকরণ। এতে পরিযায়ীদের সম্পর্কে প্রকৃত তথ্যভান্ডারও তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভাল সাড়া মিলবে বলেই আশা করছে হুগলি জেলা শ্রম দফতরের।
জেলার উপ-শ্রম কমিশনার ত্রিদিবেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দুয়ারে সরকার শিবিরগুলিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করতে আবেদন জমা নেওয়া এবং তা চটজলদি যাচাইয়ের সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ওই শ্রমিকেরা নিজেরা হাজির না থাকলেও পরিবারের লোকেরা প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেবেন। প্রতিটি আবেদনপত্র যাচাই করে যোগ্যদের নথিভুক্ত করা হবে।”
প্রশাসন ওই দাবি করলেও অন্ধ্রপ্রদেশের সোনার কারিগর হিসাবে কাজে যুক্ত খানাকুলের নতিবপুরের শ্রীমন্ত সামন্তের স্ত্রী শর্মিলা বলেন, “সরকারি সুবিধা পেতে স্বামীর নাম নথিভুক্ত করতে যাব। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সরকারি সহায়তায় বিশ্বাস নেই।’’
জেলা শ্রম দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিকের পরিষেবাগুলির মধ্যে মৃত্যু এবং দুর্ঘটনায় আর্থিক সহায়তা থাকছে। পাশাপাশি দুর্যোগ, মহামারি ইত্যাদি ক্ষেত্রেও আর্থিক সহায়তা মিলবে।
হাওড়ার প্রায় প্রতি ব্লকেই পরিযায়ী শ্রমিক আছেন। সবচেয়ে বেশি আছেন পাঁচলায়। মূলত জরির কাজের সূত্রে এই ব্লকের বহু কারিগর দিল্লি বা মুম্বইয়ে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, কী ভাবে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পে নাম লেখানো হবে, তা নিয়ে কোনও প্রচারই হয়নি।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, সব পরিযায়ী শ্রমিকদেরই নাম নথিভুক্ত হবে। পরিযায়ী শ্রমিকেরা নিকটাত্মীয়দের মাধ্যমে নাম নথিভুক্ত করাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) সৌমেন পাল।