ছবি: ফেসবুক।
খসড়া ভোটার তালিকা অবৈধ, এই অভিযোগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির পরিচালকমণ্ডলীর নির্বাচন। সেই ঘটনার ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর সুপারিশ করা সদস্যদের তালিকা অনুযায়ী তড়িঘড়ি গঠন করা হল ১২ জনের মনোনীত পরিচালকমণ্ডলী। যা ঘিরে আবারও ক্ষোভ দানা বেঁধেছে সমিতিতে। সদস্যদের প্রশ্ন, নির্বাচন বাতিল হওয়ার আগেই কী ভাবে ওই ১২ জনের তালিকা তৈরি হল? তা হলে কি পুরোটাই পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে?
এমনিতেই অর্থাভাবে ধুঁকছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতি। সেখানে দুর্নীতির অভিযোগ কয়েক দশকের। এরই মধ্যে আচমকা গত মাসের শেষ দিকে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে পরিচালকমণ্ডলীর নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়। তৈরি হয় খসড়া ভোটার তালিকা। কিন্তু সেই ভোটার তালিকা নিয়ে সমবায় দফতরে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ার পরে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অব কোঅপারেটিভ সোসাইটিজ় অসিত বিশ্বাস নির্বাচন বাতিল করে দেন।
সমবায় সমিতির এক কর্মীর কথায়, ‘‘নির্বাচন বাতিল হওয়ার পরে আমরা জানতে পারি, উত্তর হাওড়ার বিধায়ক নিজে মনোনীত পরিচালকমণ্ডলীর খসড়া তালিকা তৈরি করে একটি চিঠি সমবায় দফতরে পাঠান। জটিলতা কাটাতে বিধায়ক তা করতেই পারেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, ২২ তারিখ নির্বাচন বাতিল ঘোষণার আগেই কী ভাবে ওই তালিকা তৈরি হল এবং ওই দিনেই তাতে সরকারি সিলমোহর পড়ল?’’ এ ব্যাপারে অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার বলেন, ‘‘ওই মনোনীত তালিকা কবে জমা পড়েছে, আমার মনে নেই। তবে নিয়ম মেনেই সব করা হয়েছে।’’ আর উত্তর হাওড়ার বিধায়কের কথায়, ‘‘এই মনোনীত বোর্ডকে সরকার তৈরি করেছে ছ’মাসের জন্য। কাজ না করলে সরিয়ে দেওয়া হবে।’’