আলমগির মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
ভাগ্য ফেরাতে লটারির টিকিট কেটেছিলেন। লটারিতে কোটি টাকা জিতলেনও। কিন্তু তার পর থেকেই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ঘুসুড়ির বাসিন্দা আলমগির মণ্ডলকে।
পেশায় দর্জি আলমগির গত ২১ নভেম্বর ঘুসুড়ির জেএন মুখার্জি রোডের একটি লটারির দোকান থেকে ১২০০ টাকা দিয়ে একটি সিরিজের টিকিট কাটেন। পরে তিনি জানতে পারেন তাঁর কেনা টিকিটে দু’টি পুরস্কার উঠেছে। আলমগিরের দাবি, প্রথম পুরস্কার এক কোটি টাকা এবং আরও দু’লক্ষ টাকার একটি পুরস্কার তিনি জিতেছেন। আলমগিরের অভিযোগ, লটারির দোকানের মালিক গোপাল আগরওয়াল দু’লক্ষ টাকা পুরস্কারের মধ্যে এক লক্ষ আশি হাজার টাকা তাঁকে অনলাইনে দিয়ে দিলেও এক কোটি টাকার পুরস্কারের টিকিট তিনি কেনেননি বলে দাবি করেন। এই নিয়ে লটারি দোকানের মালিকের সঙ্গে আলমগিরের বিবাদও হয়। আলমগিরের দাবি, তিনিই এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছেন।
ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ। দু’পক্ষকে থানায় ডাকা হয়। আলমগিরের অভিযোগ, থানায় ডেকে পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে হুমকি দিতে থাকেন। এর পাশাপাশি লটারির টিকিটে জেতা এক কোটি টাকার অর্ধেকও তাঁরা দাবি করেন। যদিও মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর পরেই তিনি হাওড়া পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। গোটা ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। ২২ তারিখ রাতে ওই লটারি কোম্পানির ডিলারের বালির অফিস থেকে এক কোটি টাকার টিকিটটি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ওই টিকিটটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই টিকিটের দু’জন দাবিদার থাকায় তারা গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের পরই জানা যাবে কে টিকিটটির আস মালিক। তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হবে কোটি টাকার টিকিট। দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হওয়ায় দু’জনকে গ্রেফতার করে পরে জামিন দেওয়া হয়। আদালতেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে মালিপাচঁঘড়া থানার পুলিশের দাবি।