বাবাকে খুনের অভিযোগে উদয় সাঁতরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।
মত্ত অবস্থায় তর্কাতর্কির সময় কুড়ুল দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে খুন করল এক যুবক। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের এক যুবকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার ওই কুড়ুল নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত। পুলিশের দাবি, নিজের জবানবন্দিতে অপরাধের কথা কবুল করেছে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে উদয়নারায়ণপুর থানা এলাকার গজা সাঁতরাপাড়ায় মৃত্যুঞ্জয় সাঁতরা (৬০)-কে খুনের অভিযোগে তাঁর ছেলে উদয় সাঁতরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চাষবাস করে সংসার চালাতেন বৃদ্ধ মৃত্যুঞ্জয়। তবে মাঝেমধ্যে কাজকর্ম করলেও বেশির ভাগ সময়ই নেশা করে কাটাতেন ২৮ বছরের উদয়। নেশা করতেন মৃত্যুঞ্জয়ও। তা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকত। অভিযোগ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়শই স্ত্রী-কে মারধরও করতেন মৃত্যুঞ্জয়। সংসারে অশান্তির জেরে পাশের বাড়িতে থাকতেন তাঁর স্ত্রী। এমনকি, নেশা করে বাবা-ছেলেতেও মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত।
এলাকার লোকজনের দাবি, বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ বাবা-ছেলের মধ্যে তুমুল ঝামেলা শুরু হয়। সে সময় দু’জনেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। অভিযোগ, ঝগড়াঝাঁটির সময় ঘরের থেকে একটি কুড়ুল নিয়ে বাবাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করেন উদয়। এর পর কুড়ুল নিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। নেশার ঘোরেই এ কাজ করেছে বলেও দাবি স্থানীয়দের।
বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদয়নারায়ণপুর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মৃত্যুঞ্জয়ের দেহ উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে উদয়কে গ্রেফতার করে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। শুক্রবার উলুবেড়িয়া আদালতে পেশ করা হয় উদয়কে।