Bankra

হাওড়ার পঞ্চায়েত অফিসে গুলি চালানোর ঘটনায় বেঙ্গালুরু থেকে পাকড়াও মূল অভিযুক্ত! ধৃত পাঁচ

স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের দখলে বাঁকড়া-৩ পঞ্চায়েতের প্রধান এবং প্রাক্তন এক সদস্যের মধ্যে গন্ডগোলের জেরেই ওই গুলি চলেছে। এ নিয়ে মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বাঁকড়া শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৪ ১১:২৯
Share:

পঞ্চায়েত অফিসে হামলার পর। —ফাইল চিত্র।

হাওড়ার বাঁকড়ায় পঞ্চায়েত অফিসে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ সাজিদ। হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দারা তাঁকে পাকড়াও করেছেন বেঙ্গালুরু থেকে। সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সাজিদ গিয়েছিলেন বলে খবর।

Advertisement

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ ঢেকে বাঁকড়া-৩ পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ঢুকে পড়ে জনা তিনেক দুষ্কৃতী। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যেই গুলি চালায় তারা। সরাসরি গুলি না লাগলেও এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের বাবা-সহ মোট দু’জন জখম হন। পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকি শেখকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি টেবিলের তলায় বসে পড়েন। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে হাওড়া সিটি পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার তাদের হাওড়া জেলা আদালতে হাজির করানো হয়। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে সাজিদের নাম। পুলিশ সূত্রে খবর, ভিন্‌রাজ্য থেকে দুষ্কৃতী ভাড়া করে ওই হামলা করা হয়েছিল। এবং সেটা ওই সাজিদই করেন। সাজিদ স্থানীয় বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, বিধায়কের ‘প্রতিনিধি’র পরিচয় দিয়ে এলাকায় দৌরাত্ম্য চালাচ্ছিলেন অভিযুক্ত।

স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের দখলে বাঁকড়া-৩ পঞ্চায়েতের প্রধান এবং প্রাক্তন এক সদস্যের মধ্যে গন্ডগোলের জেরেই এই গুলি চলেছে। গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সাজিদের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধেও। সাজিদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এক সময় জমির দালালি করা সাজিদ তৃণমূলে থাকার ‘ফয়দা’ নিয়ে জমি মাফিয়া, প্রোমোটিংয়ে টাকা লাগানো থেকে তোলাবাজির টাকায় ফুলেফেঁপে ওঠেন। কোটিপতি সাজিদের বিরুদ্ধে বর্তমানে তৃণমূলের একাংশ ক্ষুব্ধ ছিল বলে খবর। তৃণমূলেরই অভিযোগ, বর্তমানে পঞ্চায়েতের কোনও পদে না থেকেও কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। তবে সাজিদের আর একটি পরিচয় হল, তিনি বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান টুকটুকির জামাইবাবু। প্রধানকে দিয়ে নিজের মতো করে পঞ্চায়েতে রাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এলাকার মানুষ তাঁর দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে সাজিদ জানান, তিনি দলের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। এটা চক্রান্ত।

Advertisement

এই ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তৃণমূল দল থেকে সাসপেন্ড করেছে তিন কর্মীকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement