তদন্তে জানা যায়, ঘটনার পরে রাতেই দেবরাজ হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে বর্ধমানে চলে যায়। প্রতীকী ছবি
ঘটনার ১০ দিন পরে ধরা পড়ল হাওড়ার এম সি ঘোষ লেনে পরিবারের চার জনকে খুনে অন্যতম অভিযুক্ত দেবরাজ ঘোষ।হাওড়া সিটি পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই ব্যক্তিকে বর্ধমানের কাটোয়া রেল স্টেশন থেকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার ধৃতকে হাওড়া আদালতে তুলে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়। বিচারক ধৃতের তিন দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন।
চলতি মাসের ১০ তারিখ রাতে এম সি ঘোষ লেনের একটি বাড়ির একতলার দালান থেকে চারটি রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে জানা যায়, পারিবারিক অশান্তি ও সম্পত্তি নিয়ে গোলমালের জেরে স্ত্রী পল্লবী ওরফে পূর্ণিমার সঙ্গে মিলে পরিবারের ছোট ছেলে দেবরাজ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তার মা মাধবী ঘোষ, দাদা দেবাশিস ঘোষ, বৌদি রেখা ঘোষ ও ১৩ বছরের ভাইঝি তিয়াসা ঘোষকে। ঘটনার পর থেকে দেবরাজ পলাতক ছিল।
খবর পেয়ে সেই রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পেয়েছিল, ধারালো অস্ত্র হাতে পল্লবী খাটের উপরে বসে আছে। অনেক বুঝিয়ে তাকে নিরস্ত্র করার পরে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তদন্তে জানা যায়, ঘটনার পরে রাতেই দেবরাজ হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে বর্ধমানে চলে যায়। গত ১০ দিন ধরে কাটোয়া, পূর্বস্থলী-সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায় সে। তার মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান দেখে পুলিশ কয়েক বার চেষ্টা করলেও দেবরাজ ঘন ঘন জায়গা বদল করায় তাকে ধরা যাচ্ছিল না। অবশেষে অভিযুক্তকে ধরতে বিশেষ দল গঠন করে হাওড়া সিটি পুলিশ। সেই দলটিই বৃহস্পতিবার রাতে কাটোয়া স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে হাওড়ায় নিয়ে আসে।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম যে, পলাতক দেবরাজ বর্ধমানে রয়েছে। কোনও হোটেলে উঠলে পুলিশ সন্দেহ করতে পারে ভেবেই সে থাকছিল রেল স্টেশনে। ওই জ়োনের সব স্টেশন এবং ট্রেন পরীক্ষা করায় সে ধরা পড়ে।’’