হোসেনারা খাতুন।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্কুলের মধ্যে সর্বাধিক নম্বর পেয়েও দারিদ্রের কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে হাওড়ার বাগনানের রানা গ্রামের হোসেনারা খাতুনের উচ্চশিক্ষা। আশাড়িয়া ঈশ্বরীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ছাত্রী ৬১৫ নম্বর পেয়েছে। বাংলা, জীবনবিজ্ঞান, ভূগোল, ইতিহাসে নম্বর নয়ের ঘরে। অঙ্ক এবং ইংরেজিতে ৮৫। পদার্থবিজ্ঞানে ৭৬।
বাবা জামাল আলি হকারি করেন। রোজগার সীমিত। মেয়েকে গৃহশিক্ষক দিতে পারেননি। তাতেই মাধ্যমিকে ভাল ফল করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে হোসেনারা। সে স্বীকার করে, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা পঠনপাঠনে যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। কিন্তু, এ ভাবে যে উচ্চ মাধ্যমিকে সামলানো কঠিন, বিলক্ষণ জানে ছাত্রীটি। তার ইচ্ছা, উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায়।
হোসেনারার বক্তব্য, উচ্চ মাধ্যমিকে ভাল ফল করতে হলে গৃহশিক্ষক প্রয়োজন। এখানেই সে অসহায়। তার কথায়, ‘‘বাবার রোজগার কম। কী করে গৃহশিক্ষক দেবেন!’’ চিন্তার ভাঁজ জামালের কপালেও। তবে, দমতে রাজি নয় ছাত্রীটি। তার প্রত্যয়, ‘‘যত প্রতিকূলতাই আসুক, হাল ছাড়ব না। আশা করি, কেউ না কেউ পাশে দাঁড়াবেনই।’’