চন্দননগরের আলোয় সেজেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা। —নিজস্ব চিত্র।
রামমন্দিরের উদ্বোধন হবে জানুয়ারী মাসে। তার আগেই চন্দননগরের আলোয় সেজে উঠল উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা। আলোকশিল্পীদের আশা যে, এ বার রামমন্দির সাজানোরও বরাত পাবেন তাঁরা।
দীপাবলীতে প্রতি বছরই চন্দননগরের আলোয় সেজে ওঠে অযোধ্যা। নতুনত্ব বলতে এ বার রামের বিগ্রহের পাশাপাশি নির্মীয়মাণ রামমন্দিরকেও ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে আলোকসজ্জার মাধ্যমে। অযোধ্যার রামমন্দির ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তার আগে দীপাবলিতে চন্দননগরের আলোয় সেজে উঠেছে অযোধ্যার পথঘাট। অযোধ্যায় নানা গুরুত্পূর্ণ জায়গায় আলোর বড় বড় গেট লাগানো হয়েছে। অযোধ্যা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী চিত্রকূটেও জ্বলছে চন্দননগরের আলো।
চন্দননগরের বিদ্যালঙ্কার এলাকার আলোকশিল্পী মনোজ সাহা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোয় তৈরি কিছু আলো আর বেশ কিছু নতুন আলো অযোধ্যায় লাগানো হয়েছে। প্রায় দশ কিমি রাস্তায় গেট লাগানো হয়েছে। অযোধ্যায় দীপাবলি উপলক্ষে বড় উৎসব হয়। বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা সেই উৎসবে যোগ দেন। সেই উৎসবেই আলোর বরাত পেয়েছে চন্দননগরের সাহা ইলেকট্রিক। অযোধ্যাকে আলো দিয়ে সাজিয়ে তুলতে দীপাবলীর আগেই চন্দননগর থেকে কর্মীরা সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন।
এ বার সেখানে মূল আকর্ষণ রাম মন্দিরের আদলে তৈরি আলো। একটি আলোকসজ্জায় দেখা যাচ্ছে, মন্দিরের উপর রামচন্দ্র তির-ধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সাহা ইলেকট্রিকের তরফে মনোজ সাহা বলেন, “প্রতি বছরই অযোধ্যায় আমাদের কাজ থাকে। চন্দননগরের আলোর কদর আছে সেখানে। এ বার বাড়তি আকর্ষণ হল রামমন্দির।” আর মাস দু’য়েক পর রামমন্দিরের উদ্বোধন হবে। আলোয় সাজবে মন্দির। দরপত্র দিয়ে মন্দিরকে আলো দিয়ে সাজানোর বরাতও পাওয়া যাবে, আশায় বুক বাঁধছেন মনোজেরা।