ফাইল চিত্র।
আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট কতটা হিংসামুক্ত থাকবে তা নিয়ে এখন থেকেই নানা মহলে জল্পনা চলছে। সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে নেতানেত্রীদের কিছু মন্তব্য।
বুধবার বনগাঁর বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সাধারণসম্পাদক দেবদাস মণ্ডল দলীয় কর্মসূচিতে দাবি করেছিলেন, ‘‘বিজেপির একজন কার্যকর্তা রক্তাক্ত হলে বিজেপিও পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের ধরে ধরে রক্তাক্ত করবে।’’ বৃহস্পতিবার হুগলির সিঙ্গুরে দলের সশক্তিকরণ কর্মসূচিতে এসে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ওই মন্তব্যকে শুধু সমর্থনই করলেন না, বুঝিয়ে দিলেন, তাঁরাও সহজে জমি ছাড়বেন না।
লকেট বলেন, ‘‘২০১৮-র পর থেকে বিজেপি কার্যকর্তাদের শরীরে ওরা রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছে। কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। মহিলাদের ধর্ষণ করা হয়েছে বিজেপি করেন বলে। এই ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে কেউ মুখ বন্ধ করে বসে থাকবে না। সে কারণে আমাদের আওয়াজ তুলতেই হবে। উনি (দেবদাস) যেটা বলেছেন, সেটা ঠিক বলেছেন। রক্তগঙ্গা বইলে আমরা তো আর পুজো করতে পারি না বরণডালা দিয়ে। তার জন্য আমাদেরও প্রস্তুত থাকতে হবে।’’
অবশ্য আগেকার অশান্তির দায় প্রত্যাশিত ভাবেই তৃণমূলের ঘাড়েই চাপিয়েছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘দিনের পরদিন পঞ্চায়েত ভোটে রক্তারক্তি, খুনোখুনি, বোমাবাজি, মনোনয়নপত্র জমা দিতে না দেওয়া— ওরাই শুরু করেছে। কোনও বিরোধী দল থাকতে দেবে না, এ ভাবে চলতে পারে না। মানুষের আওয়াজ বিজেপি তোলে। তাই মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিজেপিকেও সেই পথ অবলম্বন করতে হবে।’’
এ কথা শুনে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক দিলীপ যাদব পাল্টা দাবি করেন, ‘‘২০১১ সাল থেকে মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন আমাদের প্রার্থীরা। রাজ্য সরকার গ্রামবাংলায় যে উন্নয়ন করেছে, পরবর্তী নির্বাচনে আমরাই জয়যুক্ত হব। অযথা মানুষকে ভয় দেখানো বা কুকথা থেকে বিরত থাকুক বিজেপি।’’