বালি পুরসভার ফিন্যান্স অফিসার কল্যাণ প্রামাণিক। —নিজস্ব চিত্র।
হঠাৎই বদলি বালি পুরসভার ফিন্যান্স অফিসার কল্যাণ প্রামাণিক। যা নিয়ে প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে চাপানউতর। তাঁকে দক্ষিণ দিনাজপুরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে বদলি করা হয়। বদলির নির্দেশ এসেছিল গত ২২ জুলাই।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বালি পুরসভার মোটা অঙ্কের একাধিক তিনি পাস করাতে চাইছিলেন না। এ বিষয়ে তিনি ইউডিএম দফতরের অতিরিক্ত সচিব, অর্থ দফতরের বিশেষ অর্থ সচিবকে চিঠিও লিখেছিলেন। প্রতিলিপি কপি পাঠিয়েছিলেন হাওড়ার জেলাশাসক ও বালি পুরসভার পুরপ্রশাসককে। তিনি জানিয়েছিলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি তিনি বালি পুরসভার ফিন্যান্স অফিসার পদে যোগ দেন। এর পর থেকেই প্রচুর বিল আসা শুরু হয় তাঁর কাছে। কিন্তু একটা কাজও সরকারি নিয়ম মেনে হয়নি। তাই তিনি বিল ছাড়েননি। কিন্তু বিল ছাড়ার জন্য তাঁর উপর ক্রমাগত চাপ দেওয়া হচ্ছে। এর পর কিছুদিন আগে বিল পাসের জন্য ঠিকাদারেরা দীর্ঘ ক্ষণ বালি পুরসভা ঘেরাও করেন।
এর প্রেক্ষিতে সিপিএম নেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী দাবি করেন, বালি পুরসভায় দুর্নীতি হয়েছে। কল্যাণ তার প্রতিবাদ করেছিলেন বলেই তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়। পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানান সব্যসাচী। পাল্টা হাওড়া সদরের তৃণমূল যুব নেতা কৈলাশ মিশ্র বলেন, ‘‘দুর্নীতির বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে বালি পুর এলাকায় কাজ ঠিক মতো হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কিছুটা হলেও নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।’’