কামারপুকুরে উৎসবের আয়োজন দিনভর। — ফাইল চিত্র।
পয়লা জানুয়ারি কাশীপুর উদ্যানবাটিতে কল্পতরু হয়েছিলেন শ্রী রামকৃষ্ণ। ১৮৮৬ সালের সেই দিনকে স্মরণ করে পালিত হয়ে আসছে কল্পতরু উৎসব। কাশীপুর উদ্যানবাটি, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের পাশাপাশি, সেই দিনটি পালিত হয় শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান কামারপুকুরেও। অগণিত ভক্তের ভিড় বেলুড় মঠেও। রবিবার একই ছবি দেখা গিয়েছে দক্ষিণেশ্বরেও।
রবিবার ভোরে কামারপুকুরে মঙ্গল আরতি দিয়ে সূচনা অনুষ্ঠানের। এর পর দিনভর ধরে চলে পূজাপাঠ, বৈদিক মন্ত্র, স্তোত্রপাঠ এবং ভজন। দুপুরে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয় প্রতি বার। রবিবার সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের জমায়েত হতে থাকে শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান কামারপুকুরে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে ভিড়ও। দিনভর চলতে থাকে ভক্তদের জমায়েত।
নববর্ষের প্রথম দিনে ভক্তের ঢল নামে বেলুর মঠেও। দক্ষিণেশ্বর কিংবা কাশীপুর উদ্যানবাটিতে বছরের এই নির্দিষ্ট দিনটিতে কল্পতরু উৎসব পালিত হয়ে থাকে। তবে বেলুড় মঠে তেমন কোনও অনুষ্ঠান হয় না। এই বিশেষ দিনটিতে অবশ্য অগণিত ভক্ত পৌঁছন বেলুর মঠে। রবিবারও দেখা গিয়েছে সেই ছবি। প্রথা মেনে ভোরবেলায় মঙ্গল আরতির মাধ্যমে বেলুড় মঠের নিত্যদিনের পূজার্চনা শুরু হয়। রবিবার সারা দিন খোলা থাকবে মঠ প্রাঙ্গণ। মূল মন্দির অবশ্য নির্ধারিত সময় অনুযায়ীই খোলা থাকবে। বেলুড়ে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের জন্য খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, রবিবার ভক্তদের ভিড় দেখা গিয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরেও।