— প্রতীকী ছবি।
মেয়ের জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার। আর শুক্রবার সকালেই বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আমগাছে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল পাটকলের শ্রমিকের। হুগলির মগরা এলাকার ছোট খেজুরিয়ার ঘটনা। মৃতের নাম অভিজিৎ রায় (৩৬)। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের একটি পাটকলে কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্ত্রী, সাত বছরের পুত্র এবং চার বছরের কন্যাকে নিয়ে থাকতেন অভিজিৎ। পাটকলে কাজ করে বড় আয় করতেন, তেমন না। বৃহস্পতিবার তাঁর মেয়ের জন্মদিন ছিল। মেয়ের আবদার মেনে জন্মদিন পালনের সব রকম ব্যবস্থা করেছিলেন অভিজিৎ। তবে স্থানীয়দের দাবি, সারাদিন হই হই করে কাটালেও রাতে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তির জেরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান অভিজিৎ। রাতে তিনি বাড়ি না ফেরায় তাঁর খোঁজ শুরু করেন বন্ধুবান্ধব এবং প্রতিবেশীরা। শুক্রবার সকালে মগরা থানায় যাওয়ার কথাও ছিল অভিজিতের পরিবারের। এর মধ্যেই এলাকার বাসিন্দারা অভিজিতের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে আমবাগানে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন। খবর দেওয়া হয় মগরা থানায়।
পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিজিতের দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিজিতের হাতে পেন দিয়ে লেখা ছিল, ‘‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।’’
অভিজিতের বন্ধু দেবব্রত বিশ্বাস বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছি। অভিজিতের মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। ওর ছোট দুটো সন্তান রয়েছে। পাটকলে কাজ করত। হয়তো সংসার ঠিক মতো চলত না, তাই মানসিক অবসাদ ছিল।’’ মৃত যুবকের কাকা বিরাপদ রায় বলেন, ‘‘কালকে ছোট মেয়েটার জন্মদিন ছিল। সব জোগাড় করে। মাংস কিনে আনে। আমাদের ধারণা অনটন থেকেই আত্মঘাতী হয়েছে অভিজিৎ।’’
যদিও অভিজিৎ আত্মহত্যা করেছেন, না অন্য কোনও ভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।