—নিজস্ব চিত্র।
স্ত্রীকে হেনস্থার মামলার সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন স্বামী। ভরা আদালতে তাঁরই বুকে গুলি করে দিয়েছিলেন স্ত্রীকে মারধরে মূল অভিযুক্ত। ১২ বছর আগে চন্দননগর আদালতের সেই হাড়হিম করা ঘটনায় ওই আততায়ী আরশাখ শেখকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিলেন বিচারক সঙ্গীতা মুখোপাধ্যায়।
২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারির ঘটনা। চন্দননগর আদালতে বিচারপর্ব চলছে। আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসেছিলেন সোমনাথ কোলে। বিচারকের সামনে এজলাসের ভিতর তাঁকে গুলি করেন আরশাদ। আদালত সূত্রে খবর, আরশাদ মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। রাজমিস্ত্রির কাজে সিঙ্গুরের নসিবপুরে থাকতেন। সেখানে এক যুবতীর সঙ্গে তাঁর প্রেম হয়। সেই প্রেমিকাই পরে সোমনাথকে বিয়ে করেন। তার পর থেকেই যুবতীকে উত্যক্ত করতেন আরশাদ। এক দিন রাস্তায় একা পেয়ে মারধরও করেন। সেই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয় সিঙ্গুর থানায়। ৩০৭ ও ৩২৬ ধারায় মামলা রুজু হয়। সেই মামলাতেই চন্দননগর আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়েছিলেন সোমনাথ। সেই সময় আদালতের ভিতর ঢুকে সোমনাথকে গুলি করে খুন করেন আরশাদ।
মামলার সরকারি আইনজীবী গোপাল পাত্র বলেন, ‘‘সোমনাথ সাক্ষ্য দিতে আদালতে ঢুকেছিলেন। পিছন পিছন ঢোকেন আরশাদও। এর পর পকেট থেকে পিস্তল বের করে সোমনাথের বুকের বাঁ দিকে চালিয়ে দেন। আদালতের নিরাপত্তারক্ষী আততায়ীকে ধরে ফেলেন। তাঁর কাছ থেকে একটি চাইনিজ পিস্তল পাওয়া যায়। যার ভিতর দুই রাউন্ড গুলি ছিল। গুলিবিদ্ধ সোমনাথকে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফরেন্সিক তদন্তে ১৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর অভিযুক্ত আরশাদকে ৩০৭ ও ২৫/২৭ অস্ত্র আইনে দোষী সাব্যস্ত করে চন্দননগরের দ্রুত নিষ্পত্তি আদালত।’’