Water Project Howrah

জল অপচয় রোখা, অবৈধ মজুত ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

সম্প্রতি রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের কথায় উঠে এসেছে প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছনোর প্রকল্প, ‘জল জীবন মিশন’-এ রাজ্যের স্থান একেবারে পিছনে। জলশক্তি প্রতিমন্ত্রী ভি সোমান্না জানান, জলের বিষয়টি রাজ্যের অধীন। এখনও পর্যন্ত গ্রামবাংলার ৫০.৯৭ শতাংশ পরিবার নলবাহিত জল পাচ্ছে। হাওড়ার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখল আনন্দবাজার।

Advertisement

নুরুল আবসার

উলুবেড়িয়া: শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৪ ০৪:৩০
Share:

কালীনগরে চলছে হুগলী নদী থেকে জল তুলে শোধন প্রকল্পের কাজ। নিজস্ব চিত্র।

হাওড়া জেলায় ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পে ৫৩.৩৩ শতাংশ পরিবারে নলবাহিত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে খবর। এই হার রাজ্যের গড় হারের থেকে বেশি।

Advertisement

রাজ্যে ৫০.৫৭ শতাংশ পরিবারে এখনও পর্যন্ত সরাসরি নলবাহিত পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘‘যে ভাবে কাজ চলছে, তাতে ২০২৫ সালের মধ্যে জেলার পঞ্চায়েত এলাকার প্রতিটি পরিবারে নলবাহিত পানীয় জলের সংযোগ দিয়ে দেওয়া হবে।’’

জেলার গ্রামাঞ্চলে অর্ধেকের বেশি পরিবারে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। এখন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাছে যেটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা হল, জলের অপচয় ও অবৈধ ভাবে জল মজুতের প্রবণতা বন্ধ করা। কারণ, এর ফলে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই সব এলাকায় সমান জল পৌঁছচ্ছে না। মন্ত্রী বলেন, ‘‘জলের অপচয় বন্ধ করতে আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে চলতি বিধানসভাতেই বিল আনা হয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ উপায়ে জল মজুতের বিরুদ্ধে কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’

Advertisement

জেলার গ্রামীণ এলাকায় মোট পরিবারের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯৭০। তার মধ্যে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৪৭৪ টি পরিবারে। বাকি পরিবারগুলিতে জলের সংযোগ দেওয়ার জন্য প্রকল্পের কাজ চলছে বলে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর সূত্রে খবর। এর মধ্যে আছে দু’টি মেগা প্রকল্প। একটি উলুবেড়িয়ার কালীনগরে। অন্যটি সাঁকরাইলে। দু’টি প্রকল্পেই হুগলি নদী থেকে জল তুলে তা শোধন করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। সাঁকরাইলের প্রকল্প থেকে পাঁচলা, ডোমজুড়, উলুবেড়িয়ার আংশিক এবং সাঁকরাইলের সব জায়গায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে। এই প্রকল্পে খরচ করা হবে প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা।

অন্য দিকে, উলুবেড়িয়ার কালীনগরের প্রকল্প থেকে শ্যামপুর ১, শ্যামপুর ২ উলুবেড়িয়া ১, বাগনান ১ এবং বাগনান ২ ব্লকে জল দেওয়াহবে। এই প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে ১২০০ কোটি টাকা। এই দু’টি প্রকল্পের কাজ ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে প্রশাসনের আশা। এই দু’টি প্রকল্পের কাজ শেষ হলে জেলার সিংহভাগ এলাকায় পানীয় জল পৌঁছনোর পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার কমবে বলেও সরকারি আধিকারিকদের দাবি। পুলক বলেন, ‘‘বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। তাঁর তত্ত্বাবধানে রাজ্যের অন্য জেলা-সহ হাওড়াতেও কাজ চলছে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই আমরা লক্ষ্যপূরণ করব।’’ (শেষ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement