ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে জাঙ্গিপাড়ায় আইএসএফ থেকে তৃণমূলে ফিরলেন সেখ মইনুদ্দিন। — নিজস্ব চিত্র।
২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন আইএসএফে। হুগলির জাঙ্গিপাড়া আসনে তৃণমূল প্রার্থী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আইএসএফ ও সংযুক্ত মোর্চা তাঁকে প্রার্থীও করে। কিন্তু বিরাট ব্যবধানে হেরে যান সেখ মইনুদ্দিন ওরফে বুদো। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সেই বুদোই ফিরলেন তৃণমূলে। তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
তৃণমূলে ফিরলেন শেখ মইনুদ্দিন। এক সময় জাঙ্গিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ছিল একাধিক অভিযোগও। ২০১৮-য় পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতলেও দল তাঁকে সভাপতি করেনি। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে তিনি তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিন আইএসএফে। কিন্তু ভোটে হেরে যান। সেই মইনুদ্দিনই তৃণমূলে ফিরলেন। ফিরহাদ তাঁর হাতে ঘাসফুল পতাকা তুলে দেন। ‘ঘর ওয়াপসি’র পরই সবুজ আবির নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন বুদোর অনুগামীরা। মইনুদ্দিন বলেন, ‘‘আমি দলের পুরনো দিনের কর্মী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অন্তর থেকে শ্রদ্ধা করি। তাই মানুষের কাজ করতে পুরনো দলেই ফিরলাম।’’
বিরোধীরা অবশ্য বুদোর তৃণমূলে ফেরাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপির অভিযোগ, আগামী পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাস করতেই মইনুদ্দিনকে দলে ফিরিয়েছে তৃণমূল। আইএসএফের চেয়ারম্যান তথা দলের একমাত্র বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বুদো আবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন শুনলাম। কে কোন দল করবেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। বর্তমান সময়ে এ রাজ্যে মানুষের হাতে কাজ নেই। দূর্নীতি সর্বত্র। বুদো চলে যাওয়ায় ক্ষতি কিছু হবে না। তবে আইএসএফের একটা ভোট কমবে, এটা ঠিক।’’