—নিজস্ব চিত্র।
হোটেলের অন্দরসজ্জার জন্য অগ্রিম টাকাপয়সা দেবেন বলে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির পোলবায়। পুলিশ সূত্রে খবর, যে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই করা হয়েছে তিনি মালদহের বাসিন্দা। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মালদহের ইংরেজবাজারের বাসিন্দা পেশায় অন্দরসজ্জা ব্যবসায়ী সাগ্নিক ঝা-এর যোগাযোগ করা হয়েছিল হুগলির পোলবা থেকে। গত ৬ মে তাঁকে ফোন করে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি ইন্টিরিয়র ডিজ়াইনের কাজ করেন কি না। ইতিবাচক উত্তর দেওয়ার পর সাগ্নিককে কাজের বরাত দেন অভিযুক্তরা। ব্যবসায়ীর দাবি, দিঘার একটি হোটেলে বেশ কয়েকটি ঘরের অন্দরসজ্জার দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। বাজেট বলা হয় ৭ লক্ষ টাকা। ব্যান্ডেল স্টেশনের কাছে রাজহাট অঞ্চলে মুখোমুখি দেখা করতে বলা হয়। সাগ্নিক জানান, তিনি ১০ মে কলকাতায় যাবেন কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করার জন্য। ওই পথে ব্যান্ডেলে নেমে পড়বেন। তখন কথাবার্তা হবে। দেখা হলে কথা হবে।
কথা মতো গত বুধবার ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে সকাল ১০টা নাগাদ ব্যান্ডেল স্টেশনে নেমে অটো করে রাজহাটে পৌঁছে যান সাগ্নিক। সেখানে গাড়ি নিয়ে তাঁর অপেক্ষায় ছিলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, এর পর সাগ্নিককে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে অন্য একটি গাড়িতে আরও কয়েক জন অপেক্ষা করছিলেন। তিনি পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর হাতে থাকা টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দেন ওই ব্যক্তিরা। এর পর পোলবা থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন অভিজিৎ। পুলিশ তদন্তে নেমে মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে চুঁচুড়া ফার্ম সাইড থেকে ৪৫ বছর বয়সি অভিজিৎ দাসকে গ্রেফতার করেন। সাগ্নিক জানান, ওই ব্যক্তি সেদিন তাঁকে গাড়ি করে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন।
ইতিমধ্যে ধৃতকে চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে সাত দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এই চক্রে আরও কত জন আছেন তা খতিয়ে দেখছে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ। তদন্তে উঠে এসেছে ওই গাড়িতে একাধিক নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হত। এই মামলা নিয়ে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘রাস্তায় একটা ডাকাতি হয়েছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরেই এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই চক্রে আরও কয়েক জন আছেন। তাদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’’