প্রতীকী চিত্র।
শহরকে প্লাস্টিকমুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছেন চন্দননগর পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, সম্প্রতি নেওয়া প্রকল্প পুরোপুরি কার্যকর হলে শহরে আর প্লাস্টিকজাত আবর্জনা থাকবে না।
কী সেই পরিকল্পনা?
পুর কর্তৃপক্ষ জানান, ওই প্রকল্পে শহরে নানা ভাবে আসা ও ব্যবহৃত প্লাস্টিককে মূলত তিনটি ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। ক্যারিব্যাগ, শক্ত প্লাস্টিক বোতল এবং দুধ, দই বা অন্য পানীয় বহনকারী তুলনায় নরম প্লাস্টিক। মানুষের ব্যবহার করা ক্যারিব্যাগ পুরসভার বর্জ্যের গাড়িতে প্রতিটি বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়। সেই ক্যারিব্যাগ সিমেন্ট তৈরির কাজে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে একটি সিমেন্ট কারখানার সঙ্গে পুর কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয়েছে। প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ওই কারখানায় প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ সিমেন্ট তৈরিতে কাজে লাগানো হয়। তারা এখান থেকে ক্যারিব্যাগ সংগ্রহ করে নিয়ে যাবে। ওই কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়েছে।
এর পাশাপাশি চন্দননগর কেএমডিএ পার্কের পিছনে একটি প্লাস্টিক প্রক্রিয়াকরণ প্লান্ট তৈরি করছে পুরসভা। সেখানে বোতল-সহ অন্য সব প্লাস্টিক পুরসভার বর্জ্য ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে চলে আসছে। প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্লান্টে সেই বর্জ্য প্লাস্টিক থেকে তৈরি করা হবে পাইপ। প্ল্যান্ট তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পুর-কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘করোনার বিধিনিষেধের কারণে প্ল্যান্টের কাজে কিছুটা দেরি হয়ে গিয়েছে। না হলে প্রকল্প এত দিনে চালু হয়ে যেত।’’
পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, এ ছাড়াও শহরে প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণে পুরসভার যে সব প্রকল্প চালু আছে, তা চলবে। শহরকে পরিষ্কার রাখার লক্ষ্যে পুরসভার ‘ক্লিন চন্দননগর’ নামে একটি হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। শহরের কোথাও ময়লা জমে থাকলে ওই গ্রুপে সদস্যেরা তৎক্ষণাৎ জানিয়ে দেন। তার ভিত্তিতে পুরসভা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে। এ ভাবে শহর পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
শহরবাসীর জন্য ‘অ্যাপ’ চালুরও পরিকল্পনা রয়েছে পুর কর্তৃপক্ষের। শহরের আবর্জনা পড়ে থাকলে শহরবাসী সেই অ্যাপের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারবেন। তা দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। পুর-কমিশনার বলেন, ‘‘আমরা চাইছি, যে কোনও মূল্যেই শহরকে আরও পরিষ্কার এবং সুন্দর রাখতে। সেই কারণেই নানা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।’’