প্রতিবেশীরাই অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেন। —নিজস্ব চিত্র।
মারধর করে পুত্রবধূর যৌনাঙ্গে লঙ্কাগুঁড়ো ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। হুগলির চণ্ডীপুরে এই অভিযোগে ওই বধূর শ্বশুর-শাশুড়ি ছাড়াও তাঁদের এক বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার চণ্ডীতলার একলকি মান্নাপাড়ায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়েরা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রায় আট মাস আগে এলাকার বাসিন্দা গৌতম মান্নার সঙ্গে বিয়ে হয় ডানকুনির তুলসী দত্তের। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বিয়ের মাসখানেক পর থেকেই পণের দাবিতে তুলসীর উপর অত্যাচার চালাতেন তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি দুলাল মান্না এবং জয়ন্তী মান্না। গত চার-পাঁচ দিন সেই অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে যায়। এমনকি, নিমাই রায় নামে এক পারিবারিক বন্ধুকেও তুলসীর ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের কাছে প্রতিবেশীরা দাবি করেছেন, দু’একদিন আগে ঝাঁটা-শাবল দিয়ে তুলসীকে বেধড়ক মারধর করেন তাঁর শাশুড়ি জয়ন্তী। এর তুলসীর যৌনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ঢুকিয়ে দেন তিনি। এই ঘটনা জানতে পেরে তুলসীর খুড়শ্বাশুড়ি প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, তাঁকেও মারধর করেন জয়ন্তী। এর পর খুড়শ্বাশুড়ি তাঁর স্বামী শ্রীদামকে ঘটনার কথা জানান। বুধবার শ্রীদাম সব কথা প্রতিবেশীদের জানালে তাঁরা তুলসীর বাড়িতে চড়াও হন। এর পর অভিযুক্তদের মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে আসেন প্রতিবেশীরা। পরে চণ্ডীতলা থানার পুলিশের হাতে অভিযুক্তদের তুলে দেন তাঁরা। এই ঘটনায় জয়ন্তী, দুলাল এবং নিতাইকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রতিবেশীদের দাবি, তুলসীর উপর অত্যাচারের কথা জেনেও প্রতিবাদ করতেন না তাঁর স্বামী গৌতম। উল্টে গৌতম নিজেও তুলসীকে মারধর করতেন। তুলসীর মা মুক্তি দত্তের অভিযোগ, ‘‘বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপর নানা ভাবে অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দু’বার মেয়েকে বাড়ি নিয়ে আসতে গিয়েছিলাম। তবে ওরা মেয়েকে আনতে দেয়নি।’’