প্রতীকী ছবি।
লক্ষ্য মহিলাদের ক্ষমতায়ন। বহু বছর আগেই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের সব ক্ষেত্রে ‘সুপারভাইজ়ার’ পদে মহিলাদের বেশি করে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। বহু ক্ষেত্রেই তা বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ। এ বার পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল ‘সুপারভাইজ়ার’ হিসাবে অন্তত ৫০ শতাংশ মহিলাকে নিয়োগ করতে হবে। তাতে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে।
হুগলি জেলার ১৮টি ব্লকের ২০৭টি পঞ্চায়েতেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিডিওরা। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের এক জেলা আধিকারিক বলেন, “২০০৮ সালেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সুপারভাইজ়ার হিসাবে কাজে লাগানোর নির্দেশ ছিল। তখন থেকে বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় ১৫-২০% মহিলাকে দফায় দফায় নেওয়াও হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর নতুন করে নির্দেশিকার পর, সেই সংখ্যা অন্তত ৫০ শতাংশ করতে সমস্ত পঞ্চায়েতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” 'স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাজ সাধারণ ভাবে সন্তোষজনক বলেও তিনি জানান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজে ২৫ জন শ্রমিকপিথু একজন করে ‘সুপারভাইজ়ার’ থাকেন। সেই পদেই মহিলাদের আনায় জোর দেওয়া হচ্ছে। ‘সুপারভাইজ়ার’রা এক দিনের ‘অর্ধদক্ষ’ শ্রমিকের মজুরি পান। তাঁদের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা থাকতে হবে।
মহিলাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ২০২০ সালের অগস্ট মাস নাগাদ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে নিয়ে গড়া ‘সঙ্ঘ’গুলিকে ১০০ দিনের প্রকল্পে রূপায়ণকারী সংস্থা হিসাবেও নিয়োগ করা হয়েছে। আপাতত জেলার প্রায় ৩৯টি সঙ্ঘ সেই কাজ করছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরামবাগের বিডিও কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের এলাকার পঞ্চায়েতগুলিতে কিছু মহিলা সুপারভাইজ়ার ছিলেন। সেই সংখ্যা বাড়ানোও হচ্ছিল। এ বার নির্দেশিকা অনুযায়ী কাজ তদারকির জন্য ৫০ শতাংশ মহিলাকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’ হরিণখোলা-১ পঞ্চায়েতের প্রধান আব্দুল আজিজ বলেন, “আমাদের সংসদ সদস্যেরা ইতিমধ্যে এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি থেকে মাধ্যমিক পাশ মহিলাদের নামের তালিকা নথিভুক্ত করেছেন। এই পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ১০০ জন সুপরাভাইজ়ারের মধ্যে ইতিমধ্যে ২৫ জনকে নিয়োগও করা হয়েছে।”