অন্যের পাট্টা পাওয়া জমিতে তৈরি হচ্ছে বাড়ি। নিজস্ব চিত্র
গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক দফা নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল ভূমি দফতর থেকে। তারপরেও পাট্টা পাওয়া খাস জমি বেআইনি ভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠল আরামবাগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অর্জুনপাড়ায়। ক্রেতা সেই জায়গায় নির্মাণও শুরু করেছেন। সম্প্রতি এলাকার বাসিন্দরা বিষয়টি জানান কাউন্সিলর শেখ সুকুর আলিকে। সুকুর বলেন, ‘‘বিষয়টি ব্লক ভূমি দফতর এবং পুরসভাকে জানানো হয়েছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, অর্জুনপাড়ার খেলার মাঠের পাশে চাঁদুর মৌজার ৩৬৩৬ দাগ নম্বরের খাস জমিটি কাঠা পিছু ৬০-৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন পাট্টাদারদের বংশধররা। সম্প্রতি ওই বংশধরদের মধ্যে শেখ আব্দুল রফিক ওরফে বিদুরের কাঠা খানেক জায়গার উপরে স্থানীয় দিনমজুর রেনুকা দুলে দু’কামরার ঘর বানাচ্ছেন। তাতেই আপত্তি তুলে পাট্টার জমি বিক্রি বন্ধ এবং প্রয়োজনে পাট্টা বাতিল করে জমিটি যাতে সরকারি কাজে লাগানোর দাবি তোলা হয়েছে।
শেখ আব্দুল রফিকের দাবি, “বিক্রির অভিযোগ মিথ্যা। ওই জায়গায় কে কী তৈরি করছে, আমাদের জানা নেই। আমাদের তরফেও বিষয়টি ব্লক ভূমি দফতরে জানিয়ে বিহিত চাওয়া হয়েছে।’’ তবে রেনুকা বলেন, “নিজের জায়গা ও বাড়ি না থাকা সত্ত্বেও পুরসভা থেকে সরকারি বাড়ি পাইনি। বিদু তাঁর জায়গায় ঘর করতে বলেছেন। তাঁর সঙ্গে ৪০ হাজার টাকায় রফা হয়েছে।’’
পুরপ্রধান সমীর ভান্ডারী জানান, বিষয়টি ভূমি দফতরই দেখবে। আর ব্লক ভূমি দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “জমির চরিত্র খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ তবে দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাট্টার জমি হস্তান্তরযোগ্য নয়। যে কারণে পাট্টা দেওয়া হয়েছে, সেটা ছাড়া অন্য কোনও কাজে ওই জমি ব্যবহারও করা যায় না।